জাকিয়ার স্বপ্ন কি পূরণ হবে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ’খ’ ইউনিটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে কাঠমিস্ত্রি জাহিদুল ইসলামের মেয়ে জাকিয়া খাতুন। বাবার স্বল্প আয়ের সংসারে মেধাবী এ শিক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসিতেও অর্জন করেছে জিপিএ-৫।
সামান্য বেতনে ফার্নিচারের দোকানে কাজ করা বাবার এ রাজকন্যা এতদিন কষ্ট করে পড়ালেখা করলেও চিন্তায় পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে। ভর্তির টাকা কোথায় পাবে, থাকবে কোথায়, প্রতিমাসে হাত খরচের টাকা বাবা দিতে পারবে কীনা এসব চিন্তায় মুষড়ে গেছে জাকিয়া।
২০১৬ সালে নিজ গ্রামে অবস্থিত শিতলাই দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় (এসএসসি) জিপিএ-৫ পাবার পর কাহালু আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজে মানবিক বিভাগে ভর্তি হয় সে। শিক্ষকদের সহযোগিতায় ২০১৮ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পায় জাকিয়া।
এরপর স্বপ্ন দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়ার। সেই স্বপ্নকে বাস্তব রুপ দিতে অনেকের সহযোগিতা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ ইউনিটের ফরম তুলে সে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেয়ে যায় জাকিয়া। সে খ ইউনিটের ১০২৮তম স্থানে রয়েছে।
জাকিয়ার বাবা জাহিদুল ইসলাম বগুড়া শহরের একটি ফার্নিচার হাউজে কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। সেই মজুরি দিয়ে দুই মেয়ে ও এক ছেলের পড়াশোনা করান তিনি।
জাকিয়া জানায়, তার বাবার সামান্য আয় দিয়ে তাদের সংসার চলবে নাকি পড়াশোনা করবে এই চিন্তা করছে সে। তার বাবা জাহিদুল ইসলাম জানান, তার আর্থিক অবস্থা খারাপ। তার পক্ষে মেয়ের পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব।
কলেজের অধ্যক্ষ একেএম রেজাউল আখলাক জানান, দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও জাকিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছে। যা অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক। আশা করি সমাজের বিত্তবান মানুষগুলো জাকিয়ার পাশে দাঁড়াবে।
জাকিয়ার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন তার কলেজের প্রভাষক মো. মামুন-উর-রশিদ-০১৭১১-০১০১২১ ও জাহিদুল ইসলামের (বাবা) ০১৯৩৯-৫২৭৮৫৫ নম্বরে।
লিমন বাসার/এমএএস/পিআর