কুমিল্লা মেডিকেলে অ্যাম্বুলেন্স রাখা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংরক্ষিত এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সসহ বহিরাগতদের যানবাহন রাখাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের কর্মচারী ও বহিরাগতদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাসপাতালের রোগীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে প্রতিদিনের মতো হাসপাতাল এলাকায় স্থানীয়রা রোগী ভাড়া নেয়ার উদ্দেশ্যে জরুরি বিভাগের সামনে ও আশপাশের এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স রাখেন।
এ সময় হাসপাতালের কর্মচারী জাকির হোসেন অ্যাম্বুলেন্সগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্য চালকদের চাপ দেন। এ নিয়ে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে একটি অ্যাম্বুলেন্সের গ্লাস ভেঙে যায়। পরে অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও সহকারীদের সঙ্গে হাসপাতালের অপর কর্মচারীদের কথা কাটাকাটি থেকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এতে হাসপাতাল এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মতিউর রহমান বলেন, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে হাসপাতালের সংরক্ষিত এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য যানবাহন রাখতে বাধা দেয়ায় বহিরাগতরা সংঘবদ্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
তবে অ্যাম্বুলেন্স চালক ফয়েজ, সুমন, আনোয়ার ও আবদুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা বলেন, হাসপাতালের কর্মচারী জাকির হোসেন হাসপাতালের ভেতরে অ্যাম্বুলেন্স রাখার নামে আমাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে আসছিল। সোমবার তার চাহিদা মতো টাকা না দেয়ায় আমাদের বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, পুনরায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় হাসপাতাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
মো. কামাল উদ্দিন/এএম/এমএস