বগুড়ার ৭ আসনেই ব্যাপক প্রস্তুতি, আগমন ঘটতে পারে তারেক পত্নীর
ডিসেম্বরের শেষে একাদশ সংসদ নির্বাচন। জোটভুক্ত দলগুলো ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। পিছিয়ে নেই প্রধান দলগুলোও। সবমিলিয়ে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বগুড়ার সাতটি আসনের ভোটের মাঠ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি হওয়ায় একসময় এখানে দলটির ছিল একক আধিপত্য। তবে সময়ের ব্যবধানে এখন চিত্র ভিন্ন। বিশেষ করে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করায় ভোট কেন্দ্রীক রাজনীতির মাঠে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেছে বিএনপি। তারপরেও বগুড়ার ৭টি আসনে এখন পর্যন্ত শক্তিশালী প্রার্থীদের আনাগোনা লক্ষ্যণীয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশ নেয়াটা নির্ভর করছে আদালতের নির্দেশনার ওপর। ঠিক এ কারণেই বগুড়া সদর কিংবা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান গাবতলী আসনে তারেক পত্নী ডা. জোবাইদা রহমানের আগমন ঘটতে পারে নাটকীয়ভাবে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ২ নম্বর সদস্য ও জেলা সভাপতি আলহাজ মমতাজ উদ্দিন, দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান এমপি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য ভিপি সাইফুল ইসলাম, জাপার ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ্ এমপি, যুগ্ম মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ নুরুল ইসলাম ওমর এমপি, নাগরিক ঐক্য’র আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাসদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রেজাউল করিম তানসেন এমপি এবার নিজ নিজ দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। কাজেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুখোমুখি হবে হেভিওয়েট প্রার্থীরা। বেশ কয়েকটি আসনে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। ক্ষমতাসীন দলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলে এখন নির্বাচনবিষয়ক আলোচনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পর নড়েচড়ে বসেছেন ক্ষসতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপিরা। জনগণ ও তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন তারা। সারাদেশের মতো উত্তরের গুরুত্বপূর্ণ জেলা বগুড়াতেও আগাম নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছেন বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বিভিন্ন উৎসবে ডিজিটাল ব্যানার টানিয়ে দেয়া হচ্ছে শুভেচ্ছা।
সাম্প্রতিক সময়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তারা জানান দিচ্ছেন সামনে নির্বাচন। আগামী সংসদ নির্বাচন টার্গেট করে বগুড়ার সাতটি আসনে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রায় ৫০ জন নেতা।
বগুড়ার হারানো দুর্গ পুনরুদ্ধার করতে চায় বিএনপি। আর সেই দুর্গে হানা দিয়ে আবারও নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া আওয়ামী লীগ। আর জাপা-জাসদ তাদের আসন ধরে রাখতে তৎপরতা চালাচ্ছে।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপির বর্জনের মধ্য দিয়ে বগুড়ার ৭টি আসনের দুটিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে জাসদ ও বাকি ৪ আসনে জাপার প্রার্থীরা এমপি নির্বাচিত হয়। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৫টিতে বিএনপি ও দুটি আসনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছিল।
বগুড়া-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী যারা
সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী বর্তমান এমপি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান। এছাড়া সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আলমগীর শাহী সুমন নৌকা মার্কার প্রার্থী হতে ইচ্ছুক।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মো. শোকরানা, সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান আহসানুল তৈয়ব জাকির, সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, ড্যাব বগুড়ার সভাপতি ডা. শাহ মো. শাহজাহান, সারিয়াকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মাছুদুর রহমান হিরু মন্ডল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা বেলাল হোসেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান ২য় মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হওয়ায় গত কয়েক বছরে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। রাস্তা-ঘাট ব্রিজ কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, নদী ভাঙনরোধসহ সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তারপরেও তার পরিবারের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে তিনি প্রশ্নবিদ্ধ। নিজ দলের মধ্যে বিভক্তি রয়েছে। এ কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আলমগীর শাহী সুমন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনিও নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। এ আসনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সারিয়াকান্দি উপজেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মোকছেদুল আলম দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি বিগত নির্বাচনে দলীয় মননোয়ন পেয়েছিলেন। তবে আওয়ামী লীগকে ছেড়ে দেয়ার কারণে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছিলেন।
বগুড়া-২ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী যারা
শিবগঞ্জ উপজেলার এ আসনে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাপার জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ্ এমপি নির্বাচিত হন। তিনি আগামী নির্বাচনে এ আসনে দলের প্রার্থী হবেন এটা নিশ্চিত। আ.লীগের সঙ্গে জোট হলেও তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
এখানে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ফকির, জেলা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল, আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আকরাম হেসেন, শিবগঞ্জ পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা, সাবেক কৃষক লীগ নেতা জজ আদালতের পিপি আ্যডভোকেট আব্দুল মোত্তালেব।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক এমপি একেএম হাফিজুর রহমান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মীর শাহে আলম। এ দিকে নাগরিক ঐক্য’র আহ্বায়ক সাবেক ডাকসু ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না এ আসনে প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে ডা. রেজাউল আলম জুয়েল বলেন, আরপিও সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচন করতে প্রস্তুত আছি। এলাকায় আমার যথেষ্ট জনসমর্থনও রয়েছে।
বগুড়া-৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী যারা
আদমদীঘি ও দুপচাঁচিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক অজয় সরকার, জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন পিপি, আইনবিষয়ক সম্পাদক তবিবর রহমান তবি, আদমদীঘি উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রাজু, উপজেলা কমিটির প্রয়াত সভাপতি আনছার আলী মৃধার ছেলে মারুফ রাব্বি মৃধা, দুপচাঁচিয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সেলিম।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক এমপি ও রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিন তালুকদার খোকা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মুহিত তালুকদার, বগুড়া শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বগুড়া ইউনিটের সভাপতি শেখ মকলেছুর রহমান, বিএনপি নেতা আলহাজ সুলতান মাহমুদ আমির চৌধুরী।
এ আসনে জাপা থেকে বর্তমান এমপি নূরুল ইসলাম তালুকদার, জাপার কেন্দ্রীয় সদস্য ড. শামসুর রহমান ও জেলা জাপা নেতা তৌহিদুর রহমান তৌহিদ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী যারা
কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার এ আসনের বর্তমান এমপি জাসদ (ইনু) এর রেজাউল করিম তানসেন। তিনি বগুড়া জাসদের সভাপতি। তিনি আসন্ন দশম সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী। তবে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও বগুড়া জেলার সভাপতি মমতাজ উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। বিআরডিবির চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা কামাল উদ্দিন কবিরাজ, সাবেক পিপি হেলালুর রহমান, নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যাপক আহসানুল হক মনোনয়ন প্রত্যাশী।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক এমপি মোস্তফা আলী মুকুল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জেলা বিএনপি সভাপতি আলহাজ মোশারফ হোসেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রাফি পান্না ও আলী আকতার জাকির। তবে সংস্কারপন্থী হওয়ায় দল থেকে দূরে থাকা সাবেক এমপি ডা. জিয়াউল হক মোল্লা দলীয় মনোনয়ন চাইছেন। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ফারুক আহম্মেদ, জাপার কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুস সালাম বাবু, জাপা নেতা হাজী নুরুল আমিন বাচ্চু এ আসনে জাপার মনোনয়ন প্রত্যাশী। এছাড়া জাসদ (আম্বিয়া) থেকে কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা ঠান্ডু দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
বগুড়া-৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী যারা
ধুনট ও শেরপুর উপজেলা আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের আলহাজ হাবিবর রহমান। তিনি ছাড়াও দলের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী শেরপুর উপজেলার সভাপতি জানে আলম খোকা, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক এসএম শফিউজ্জামান খোকন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আনোয়ারুল ইসলাম শাহীন, কেন্দ্রীয় সদস্য কেএম মাহবুবুর রহমান হারেজ। তবে সংস্কারপন্থী হওয়ায় দল থেকে দূরে থাকা সাবেক এমপি জিএম সিরাজ দলীয় মনোনয়ন চাইছেন। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক এমপি ড. শাহজাহান আলী তালুকদার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
বগুড়া-৬ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী যারা
জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদর উপজেলার এ আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আইনগত কারণে তিনি প্রার্থী না হতে পারলে সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন। এছাড়া বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির নূরুল ইসলাম ওমর জাতীয় পার্টির একক প্রাথী।
আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য মমতাজ উদ্দিন, জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম মন্টু, যুগ্ম সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আমিনুল ইসলাম ডাবলু দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে মমতাজ উদ্দিন প্রার্থী না হলে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ খান রনি দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।
এদিকে জাসদ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাবেক ছাত্রনেতা ও জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবিএম জাকিরুল হক টিটন ও কেন্দ্রীয় সদস্য এমদাদ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে আব্দুর রাজ্জাক ও সিপিবি থেকে আমিনুল ফরিদ দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী।
বগুড়া-৭ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী যারা
গাবতলী ও শাজাহানপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে আইনগত সমস্যা না থাকলে প্রার্থী হবেন দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি প্রার্থী না হলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী বিএমএ বগুড়া শাখার সভাপতি ডা. মোস্তফা আলম নান্নু, জেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক টি জামান নিকেতা, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আসাদুর রহমান দুলু ও কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ ইমারত আলী। জাতীয় পার্টির নেতা বর্তমান এমপি আলতাফ আলী, জাপার সাবেক এমপি আমিনুল ইসলাম সরকার পিন্টু, জেলা জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা লুৎফর রহমান স্বপন সরকারও মনোনয়ন প্রত্যাশী।
এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন দলের তৎপরতা দেখা গেলেও জামায়াত বা অন্য কোনো দলের তৎপরতা নেই বললেই চলে। তবে কাহালু-নন্দীগ্রামে উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা তায়েব আলী, শেরপুর-ধুনটে শেরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা আলহাজ দবিবুর রহমান, শিবগঞ্জ আসনে সাবেক এমপি মাওলানা শাহাদুতজ্জামান ও উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আলমগীর হোসাইন নির্বাচন করতে পারেন বলে জানা গেছে। এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বগুড়ার ৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, বগুড়া শহীদ জিয়ার জন্মভূমি। বিএনপি ভোট করলে সবগুলো আসনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। এখানকার মানুষ ধানের শীষ ছাড়া অন্য কোনো মার্কায় বিশ্বাসী নয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, বগুড়ায় নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে। সারাদেশের ন্যায় বগুড়াতেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। অর্থনৈতিক জোনের কাজ এগিয়ে চলছে। বগুড়ার সবকটি আসনে নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীরা কাজ করছেন।
বর্তমান সদর আসনের এমপি জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ওমর জাগো নিউজকে বলেন, বগুড়ায় জাপা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। তারা তাদের মার্কা লাঙল নিয়েই জয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম।
লিমন বাসার/এমএএস/আরআইপি