ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পরীক্ষার ফি ৫ টাকা কম বলে..

প্রকাশিত: ১০:০৩ এএম, ১৩ আগস্ট ২০১৫

পরীক্ষার ফি পাঁচ টাকা কম দেওয়ায় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার মেদিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির আকলিমা নামের এক ছাত্রীকে পিটিয়ে জখম করেছেন ওই স্কুলের এক শিক্ষক। ছাত্রীর বাবা এ অভিযোগ জানিয়ে দরখাস্ত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দফতরে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম আব্দুর রাজ্জাক।

অভিযোগে আকলিমার বাবা ইদ্রিস আলী জানান, তার মেয়ে আকলিমা ভাণ্ডারিয়া ৪নং মেদিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। তিনি একজন দিনমজুর ও অত্যন্ত দরিদ্র মানুষ। দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফি বাবদ স্কুল থেকে তার মেয়েকে ১৫ টাকা দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি আর্থিক অসুবিধার কারণে মেয়েকে ১০ টাকা দিয়ে স্কুলে পাঠান। কিন্তু স্কুল শিক্ষক মারধর করে টাকা তার হাতে দিয়ে ক্লাস থেকে বের করে দেন। আকলিমা বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

ইদ্রিস আলী ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের অবহিত করেন বলে জানান। পরে তিনি বুধবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দফতরে ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করে দরখাস্ত করেন।

প্রধান শিক্ষক গাজী মনিরুজ্জামান জাগা নিউজকে জানান, এ বিষয়ে তাকে কেউ কিছু জানাননি। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিষয়টি তাকে অবহিত করেছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক জাগো নিউজকে জানান, এ অভিযোগটি ভুয়া ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফি না দেয়ায় গত ৯ আগস্ট রোববার পরিবেশ পরিচিতি পরীক্ষা শেষ হলে পরীক্ষার ফি এনেছে কিনা তা তিনি আকলিমার কাছে জানতে চান। ফি না আনায় সে আকলিমাকে বকা দিলে সে বাড়িতে যায় এবং বিষয়টি তার বাবাকে জানায়।

তিনি জানান, অভিযোগকারী ইদ্রিস আলী তার মেয়ে আকলিমাকে উপবৃত্তি দেয়ার জন্য মৌখিক আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিষয়টি প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির উপর নির্ভর করায় তিনি ওই মেয়েকে উপবৃত্তি দিতে পারেননি। ফলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে এসব অভিযোগ আনেন।

এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম নান্না জাগো নিউজকে জানান, তিনি ওইদিন স্কুলে ছিলেন না। তিনি পিরোজপুরে অবস্থান করায় ঘটনা সম্পর্কে কিছু লোকের কাছে শুনেছেন। এর সত্যতা সম্পর্কে তার জানা নেই।

ঘটনার বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য নিদের্শ প্রদান করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

হাসান মামুন/এমজেড/এমআরআই