ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সুন্দরবনের মৎস্য লুটছে প্রভাবশালীরা

প্রকাশিত: ০৯:৩৫ এএম, ১৩ আগস্ট ২০১৫

পূর্ব সুন্দরবনের অভায়শ্রম (সংরক্ষিত এলাকার) অভ্যন্তরের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ হলে ও বন বিভাগের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে মৎস্য ভাণ্ডার লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলে নামধারী প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইলিশ আহরণ মৌসুমে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের আওতাধীন সুপতি, কচিখালী ও কটকা অভয়াশ্রম এলাকায় জেলে ছদ্দবেশী বনসংলগ্ন এলাকার একাধিক প্রভাবশালীরা সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প ও ফাঁড়ির কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তি করেন। তারা বনের সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করেন এবং প্রতিগোনে (সাতদিন পর পর) ৮/১০ হাজার টাকা ও ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছাড়াও মৌসুম ভিত্তিক (তিন মাসের জন্য) নৌকা ও ট্রলার প্রতি ৮০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত অনৈতিক সুবিধা নিয়ে থাকেন। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বন খেকো চক্রের সদস্যরা (প্রভাবশালীরা) মাছের প্রজনন হিসেবে চিহ্নিত বনের ওই অভয়াশ্রম থেকে লুটে নিচ্ছেন মৎস্য সম্পদ।

সুন্দরবনের মৎস্য খাতকে প্রসারিত করতে গত ২০০০ সালে তৎকালীন সরকার শরণখোলা রেঞ্জের ওই তিনটি স্টেশনের আওতাধীন খালগুলোকে অভায়শ্রম (সংরক্ষিত) এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে সকল ধরনের মাছধরা বন্ধ ঘোষণাসহ ওই এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

বন সংলগ্ন এলাকার উত্তর রাজাপুর, সোনাতলা, তাফালবাড়ী, গাবতলা ও রসুলপুর এলাকার একাধিক জেলে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জাগো নিউজকে জানান, চলতি ইলিশ আহরণ মৌসুমে নদ-নদীসহ উপকূলীয় এলাকায় তেমন মাছ পাওয়া যাচ্ছেনা। ইলিশ আহরণের জন্য গভীর সমুদ্রে যেতে হচ্ছে। সেখানে দস্যু আতঙ্ক থাকায় অনেকই সুন্দরবনের অভায়শ্রম এলাকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তি করে মাছ ধরা অব্যাহত রেখেছে।

সুন্দরবন সুরক্ষা কমিটির সদস্য মো. ফরিদ খান জাগো নিউজকে জানান, বনের উপর প্রভাবশালীদের কুদৃষ্টি পড়েছে। তারা বন ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে। শীঘ্রই তাদের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে সুন্দরবনের চরম সঙ্কট দেখা দেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এ ব্যাপারে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. কামাল আহম্মেদ জাগো নিউজকে জানান, সংরক্ষিত এলাকায় টাকার বিনিময়ে মাছ ধরতে সুযোগ করে দেয়ার বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে বন কর্মীদের কারো যোগ সাজসের প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

শওকত আলী বাবু/এমজেড/এমআরআই