ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পুলিশকে ম্যানেজ করেই চলছে অটোরিকশা

প্রকাশিত: ০৬:৪১ এএম, ১৩ আগস্ট ২০১৫

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকলেও চলছে অন্যান্য তিন চাকার বাহন। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে মহাসড়কের পাশে থাকা সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাস নিতে গেলেই  পুলিশের হয়রানিতে পড়ছেন চালকরা। ফলে পুলিশকে ম্যানেজ করেই তারা সিএনজি চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে মহাসড়কে ৩ চাকা বিশিষ্ট যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় ঢাকা-সিলেট ও ভৈরব-ময়মনসিংহ মহাসড়কের প্রায় ৪ হাজারের বেশি সিএনজচিালিত অটোরিকশার চালক বেকার হয়ে পড়েছেন। জমি বিক্রি ও বিভিন্ন সমিতি থেকে চক্রবৃদ্ধি হারে ঋণ নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা কেনায় গত কয়েক দিনে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন সিএনজির মালিকরা।

অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রী পরিবহনের জন্য বাস থাকলেও তা চাহিদার তুলনায় কম। যার ফলে সিএনজি একটি অন্যতম বাহনে পরিণত হয়েছে। ১ আগস্ট থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভৈরব থেকে নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় ৪০টি স্থানে চলাচলের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজারের অধিক যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

ভৈরব থেকে বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রী আব্দুর রাজ্জাক, মাহাবুব আলম বলেন, এখান থেকে নরসিংদী, বেলাব, রায়পুরা, আশুগঞ্জ যাওয়ার জন্য সিএনজি ছাড়া কোনো বিকল্প নেয়। বড় গাড়িতে এ সকল স্থানে কোনো যাত্রী তোলা হয় না। ফলে যাত্রীদের যাতায়াত করতে সমস্যা হচ্ছে। তাই যাত্রীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ করলে ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা অভিযোগ করে বলেন, সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো মহাসড়কের পাশে হওয়ায় চালকদের গ্যাস ফিলিং করতে বাধ্য হয়েই মাহাসড়কে উঠতে হয়। অন্যদিকে সিএনজি ছাড়া অন্যান্য তিন চাকার বাহন চলাচল করলেও তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না কিন্তু আমরা মহাসড়কে উঠলেই পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ফলে পুলিশকে ম্যানেজ করেই আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে।

ভৈরব-বাজিতপুর সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি মো. ওমর ফারুক বলেন, সরকার যেভাবে সিএনজি আমদানি করেছে এবং জনগণ যেভাবে সিএনজির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে এখন হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয়ায় সাধারণ যাত্রী ও সিএনজির মালিক ও চালকরা বিপাকে পড়েছেন। সিএনজি বন্ধ করে দেয়ার আগে এ বিষয়টিকে সরকারকে ভাল করে ভেবে দেখা উচিৎ ছিল। সিএনজি যাত্রী, চালক ও মালিকদের কথা বিবেচনা করে মহাড়কে সিএনজি চলাচলে বাধা তুলে নেবে কতৃপক্ষ এ দাবি সংশ্লিষ্টদের।

ভৈরব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদার বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তে মহাসড়কে ৩ চাকা বিশিষ্ট গাড়ি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিছু কিছু গাড়িকে সিএনজি ফিলিং করতে মহাসড়কে উঠতে হয় তাই সে বিষয়টি নিয়ে যথাযথ কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আসাদুজ্জামান ফারুক/এসএস/আরআইপি