হুজুর বলেছেন জিনের কারণেই এসব হচ্ছে
ঘর থেকে নিখোঁজের একদিন পর বাড়ির পাশের ডোবা থেকে উদ্ধার করা হলো ১০ দিন বয়সী কন্যাশিশুর লাশ। আত্মীয়দের দাবি, বাড়িতে জিনের আসর থাকার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার সকালে মাগুরা সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শিশুটির বাবা মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের কর্মচারী ফারুক হোসেন মোল্লা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার স্ত্রী নার্গিস শিশুটিকে বিছানায় ঘুম পাড়িয়ে পাশের ঘরে যান। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে শিশুটিকে বিছানায় না দেখে পাশের ঘরে খুঁজতে যান। সেখানে তার ছোট ভাই রহমতের স্ত্রী এবং সন্তান বসবাস করেন। কিন্তু তারা কিছু জানে না জানালে দিশেহারা হয়ে পড়েন নার্গিস। রাতেই বাড়ির আশপাশে খোঁজাখুঁজি চলে। কিন্তু কোথাও না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এ ঘটনার পর পুলিশও ওই গ্রামের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে।
এদিকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির পেছনে ডোবার পানিতে শিশুটিকে ভাসতে দেখে এলাকাবাসী উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
তবে একই বাড়িতে বসবাসরত ফারুকের ছোট ভাই রহমত মোল্লা বলেন, বাড়িতে জিনের আসর আছে। প্রায়ই রাতের বেলা ঘরের চালের ওপর অস্বাভাবিক শব্দ পাওয়া গেলেও তার উৎস পাওয়া যায় না। নামকরা এক হুজুর বলেছেন, জিনের কারণেই এসব হচ্ছে।
সদর থানা পুলিশের এসআই বিশ্বজিত বলেন, মাত্র ১০ দিনের ঘুমন্ত একটি শিশু ঘর থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এবং পরদিন ডোবায় মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এমএএস/এমএস