ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মা হারানোর ক্ষতিপূরণ আড়াই লাখ টাকা

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০৯:৪৯ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! দশ মাস দশ দিন যাকে পেটে ধরেছিল তাকে পৃথিবীতে পাঠিয়েই না ফেরার দেশে চলে যেতে হলো। উল্টোদিকে পৃথিবীর মুখ দেখা হলেও মায়ের মুখ আর দেখা হলো না হত্যভাগ্য নবজাতকের। হৃদয়বিদারক এ ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর সদরের মোল্যা আহম্মেদ হোসেন মেমোরিয়াল হাসপাতালে (পাঁচ তলা ক্লিনিকে)। আর এ ঘটনা আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করেছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন ওই মা। প্রসূতির এ মৃত্যুর ঘটনা ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় মীমাংসা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ক্লিনিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলা পাচুড়িয়া ইউনিয়নের দেউলী গ্রামের মো. মামুন মোল্যার স্ত্রী সোহাগী বেগমকে (১৮) সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ৯টায় সিজারিয়ান অপারেশন শুরু হয়। অপারেশনে সন্তানের জন্ম দিয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সোহাগী বেগম। মৃত্যুর খবর শুনে রোগীর স্বজনরা ক্লিনিক ঘেরাও করে।

ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ স্থানীয় লোকজন এবং পুলিশের সহায়তা নেয়। পরে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের একটি আপোষ মীমাংসা হয়।

মোল্যা আহম্মেদ হোসেন মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) রেজাউল করিম রাজা বলেন, রোগীর স্বজনদের সঙ্গে আড়াই লাখ টাকায় মীমাংসা হয়েছে।

থানা পুলিশ, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন, চতুল গ্রামের বাবলু শরীফ, আকরামুজ্জামান মৃধা রুকু, ক্লিনিক ল্যাব অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মাসুদুর রহমানসহ গণ্যমান্য বক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এ মীমাংসা হয়। তাদেরকে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং ২ লাখ টাকার চেক দেয়া হয়েছে। বুধবার টাকা নিয়ে চেক ফেরত দেয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, এরকম ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। হাঠৎ করেই এই মৃত্যুর ঘটনাটা ঘটেছে। এটি নিছকই একটি দুর্ঘটনা।

অপারেশন করা ডা. তাপস বিশ্বাস বলেন, সবই ঠিক ছিল, হঠাৎ কী হলো বুঝতে পারলাম না। সম্ভবত সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। তারপরও আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।

বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, মাদক মামলার আসামি ধরার জন্য শুকতারা হোটেলের সামনে ছিলাম। ক্লিনিকিরে সামনে লোকজন দেখে এবং হট্টগোল শুনে ক্লিনিকে গিয়ে রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারি। পরিস্থিতি শান্ত হলে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ দেয়ার জন্য বলে আসি। এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। মিমাংসার কোনো বিষয় আমার জানা নেই।

এফএ/পিআর

আরও পড়ুন