রংপুরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হাতে নারী সদস্য লাঞ্ছিত
রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানমের হাতে নারী সদস্য পারভীন আক্তার লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকেলে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় চেয়ারম্যান ছাফিয়া খানম পারভীন আক্তারকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও পরনের কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেন বলেন বলে অভিযোগ করেন পারভীন আক্তার । তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান ছাফিয়া খানম।
ভুক্তভোগী পারভীন আক্তারের অভিযোগ, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের একটি প্রকল্পের সংশোধনী আনার বিষয়ে কথা বলতে বিকেল ৫টার দিকে চেয়ারম্যানের কক্ষে যান তিনি। কথা বলার এক পর্যায়ে ছাফিয়া খানম ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায় গালাগাল এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় তিনি পরনের কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেন বলেও অভিযোগ করেন পারভীন।
ঘটনার পর চেয়ারম্যান অফিস থেকে বেরিয়ে গেলেও ওই কক্ষেই অবস্থান করেন সদস্য পারভীন আক্তার। পরে খবর পেয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি, পারভীন আক্তারের স্বামী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রহমান সোহেলসহ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পারভীন আক্তার এসব অভিযোগ তোলেন।
ঘটনার সময় উপস্থিত রংপুর জেলা পরিষদের সদস্য আবুল কাশেম বলেন, দুইজনই অশালীন ভাষায় ভাষায় একে অপরকে গালিগালাজ করেছেন।
জেলা পরিষদের অপর সদস্য সিরাজুল ইসলাম প্রামানিক বলেন, চেয়ারম্যান এর আগেও পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। আমরা সকল সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাফিয়া খানমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, পারভীন আক্তার যে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক না। সেখানে কিছুই হয়নি। আমি যথা নিয়মে অফিস থেকে সাড়ে ৫টার দিকে বের হয়ে আসি। আমি আসার পর পারভীন যে অভিযোগ করেছেন তা হয়তো পূর্বপরিকল্পিত। কাপড় কোনো ছেঁড়ার ঘটনা ঘটেনি।
জিতু কবীর/আরএআর/পিআর