শ্রীমঙ্গলে গাছ ফেলে ডাকাতি, মালামাল লুট
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতি করেছে একদল ডাকাত। তাদের হামলায় অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। ডাকাতরা যাত্রীদের মারধর করে মুঠোফোনসহ মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। তবে পুলিশ বলছে, ডাকাতি চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু ডাকাতি হয়নি।
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের বিটিআরআই পার্শ্ববর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতির শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের বিটিআরআইয়ের পাশে বেলতলী এলাকায় গাছ ফেলে ২৫/৩০ জনের ডাকাতদল যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এ সময় বাস, প্রাইভেটগাড়ি ও বেশকিছু সিএনজি অটোরিকশা চালক ও যাত্রীদের মারধর করে মুঠোফোন ও টাকা-পয়সা লুট নেয় তারা।
ডাকাতির শিকার যানবাহনের মধ্যে গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফের একটি স্টাফ বাস ছিল। এর চালকসহ অন্তত ১২ যাত্রী আহত হন। মারধর করে তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি মুঠোফোন ও নগদ লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়।
আহতরা হলেন- গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ হোটেলের সহকারী ম্যানেজার ইমরান হোসেন (৩৮), আশরাফুল ইসলাম (২৭), ড্রাইভার মনি সিংহ (৪৫), আরিফ রানা (২৮), হেলাল উদ্দিন (৩০), সোহেল মিয়া (১৮), সুজন বৈদ্য (৩০), দুলাল মিয়া (১৮), মিনহাজ (২০), মোহাম্মদ আলী (২৪), মো. আলম শেখ (১৯), মো. জুয়েল (১৭)। তারা শ্রীম্ঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতরা জানান, ডাকাতরা ওই সড়কে যাত্রীদের প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে রাত ১টার দিকে পুলিশ আসলে তারা চা বাগানের দিকে পালিয়ে যায়।
আহত সিএনজি অটোচালক আলম শেখ বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডাকাতি শুরু হয়। ৩৫ জনের মতো ডাকাত ছিল। ডাকাতদের মধ্যে কারও হাতে চাকু, কারও হাতে পিস্তল, কারও লাঠি ও দা ছিল। তারা মারধর করে অন্তত ২০টি গাড়িতে লুটপাট করেছে।
তবে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ডাকাতির চেষ্টা করা হয়েছিল। পুলিশ খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ডাকাতরা দুটি গাড়ির গ্লাস ভেঙে পালিয়ে যায় তবে ডাকাতি করতে পারেনি। তাদের আটক করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে একই কায়দায় হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় মৌলভীবাজার থেকে ঢাকাগামী একটি বাসের যাত্রীদের মালামাল লুট করে ডাকাতরা। ডাকাতির ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
রিপন দে/বিএ