ইলিশের শহরে কেজি ১৫০০ টাকা
ইলিশের শহর চাঁদপুর। চলছে ইলিশের মৌসুম। অথচ এখানে ইলিশের চড়া দাম। এক কেজি এবং এর বেশি ওজনের ইলিশ ১৩শ থেকে ১৫শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ইলিশের মৌসুম চলা সত্ত্বেও চাঁদপুরের নদ-নদীতে ইলিশের আকাল চলছে। বাজারে চাষের মাছ কম। সাগরে ধরা অন্যান্য মাছে ভরপুর চাঁদপুর মাছঘাট। গত চারদিন হাজার হাজার মণ ইলিশ আড়তে আসলেও দাম কমেনি।
জানা গেছে, মাছের সাইজ বুঝে এবং নদী না সাগরের, তাজা না বরফের এ হিসেবে মাছের দাম কম বেশি ওঠানামা করছে। ঘাটে মাছের দাম কম হবে এ আশায় মাছ কিনতে এসে দাম শুনে হতাশ ক্রেতারা। মাঝারি সাইজের ইলিশের কেজি ৭-৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুধুমাত্র ৩-৪শ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক-দেড় কেজি ওজনের ইলিশের কেজি ১৩শ থেকে ১৫শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় মাছ বিক্রেতা খন্দকার মুকবুল হোসেন বলেন, ভরা মৌসুম হওয়া সত্ত্বেও ইলিশের দাম কমে নাই। ইলিশের আমদানি যেমন বেশি দামও বেশি। বড় ইলিশের কেজি ১৫শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বুধবার সরেজমিনে চাঁদপুর ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর ইলিশ বাজারে। হাজি আ. মালেক খন্দকার, কালু ভূঁইয়া, শবেবরাত হাজি, ইকবাল বেপারী, কুদ্দুছ খা ও উত্তমের আড়তে হাতিয়া ও দৌলত খার প্রচুর ইলিশ কেনাবেচা হয়। নান্টু বাদির, দেলু খা, আনোয়ার গাজি, খালেক, ছানা, বাবুল হাজি ও মালেক খন্দকারসহ আরও অনেক চালানি আড়ত থেকে ইলিশ কেনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
দৌলত খার মাছের ব্যাপারী মো. ইউসুফ ও হাতিয়ার মফিজ মাঝি বলেন, ১৩-১৪ মণ ইলিশ মাছ খন্দকারের আড়তে দিয়েছি। ১৯ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। এসব ইলিশ সাগরের। ভোলার নদীতে ইলিশ নাই। তাই দাম বেশি।
ইলিশ মাছের দাম কমছে না কেন জানতে চাইলে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি শবেবরাত সরকার বলেন, মঙ্গলবার চাঁদপুর ঘাটে এক-দেড় হাজার মণ ইলিশ কেনাবেচা হয়েছে। মাছের দাম কিছুটা কমেছে। ১৪ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা মণ দরে অর্থাৎ ৪শ থেকে সাড়ে ৪’শ টাকা কেজি ধরে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। আগের চেয়ে ইলিশের দাম কিছুটা কমেছে। তবে বড় সাইজের ইলিশের দাম বেশি।
মৎস্য সমিতির পরিচালক খালেক বেপারী বলেন, লোকাল নদীর মাছ না পাওয়ায় চাঁদপুর ঘাট গোয়ালন্দ হয়ে গেছে। এখানের সব মাছ সাগরের। অভিযানের আগে সাগরের কিছু মাছ চাঁদপুরে এসেছে। আমরা ব্যবসায়ীরাই ভালো নাই। দাম কমবে কীভাবে?।
এএম/এমএস