চেয়ারম্যানকে গুলির দৃশ্য লুকিয়ে দেখছিল বিশ্বাস
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপির চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেন হত্যার ঘটনায় হত্যাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়ছে।
ঘটনায় জড়িত মঙ্গলবার দুপুরে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার খোকন ঢালী জেলার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের এরফান ঢালীর ছেলে। এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
সোমবার রাতে গ্রেফতারকৃত মোজাফফর বিশ্বাস মঙ্গলবার বিকেলে সাতক্ষীরার আমলী আদালত-১ এর বিচারক হারুন-অর-রশিদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ সময় ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন তিনি।
কালিগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত মন্টু ঘোষ ও মোজাফফর বিশ্বাসকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মোজাফফর বিশ্বাস হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে খোকন ঢালী নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আব্দুল জলিল গাইনের মালিকানাধীন লাল রঙের প্রাইভেটকার ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার খোকন ঢালীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ওসি আরও জানান, আদালতে জবানবন্দিতে মোজাফফর বিশ্বাস চেয়ারম্যানকে কয়েকদিন ধরে অনুসরণ করে সকল তথ্যাদি ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলকে জানানের কথা উল্লেখ করেছে। ঘটনার আগে থেকে ঘটনাস্থলের পাশে একটি জায়গায় পাহারার দায়িত্বে থেকে চেয়ারম্যানের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিতে থাকে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী চেয়ারম্যানকে হত্যা করা হয়। বিষয়টি লুকিয়ে দেখছিল বিশ্বাস। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম বললেও তদন্তের স্বার্থে কারও নাম বলা সম্ভব নয় বলে জানান ওসি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবলীগ অফিসে বসা অবস্থায় তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে সাফিয়া পারভিন বাদী হয়ে রোববার রাতে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০ জনের নামে মামলা করেন। রোববার রাতে মন্টু ঘোষ ও মোজাফফর বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আকরামুল ইসলাম/এএম/আরআইপি