সিলেটে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় আ.লীগ-বিএনপি
সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দল প্রার্থী দেয়নি। তবে উভয় দলে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে সিলেট জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা খুরশেদ আলমের কাছে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাজু আহমদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রাবেল, বিদ্রোহী প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মহিউসুন্নাহ চৌধুরী নার্জিস ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তিনজন প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠালে সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু গত পৌর নির্বাচনের মতো এবারও নৌকার মাঝি হন।
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অনেক নাটকীয়তার পর তাদের মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। পৌরসভার সর্বশেষ নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহিন। এবারও তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। কিন্তু ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার আর আগ্রহ নেই তার। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কথা আগেই জানিয়েছেন তিনি।
গত বুধবার রাতে উপজেলা ও পৌর বিএনপির সভায় আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মহিউস সুন্নাহ চৌধুরী নার্জিসকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়।
তবে তার একদিন পরই দলীয় মনোনয়ন ফিরিয়ে দিয়ে মহিউস সুন্নাহ জানিয়েছেন, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র থেকে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাজু আহমদ চৌধুরীকে প্রার্থী মনোনীত করে বিএনপি।
এদিকে, গত পৌর নির্বাচনে খেলাফত মজলিস তাদের প্রার্থী দিলেও এবারের উপ-নির্বাচনে তাদের কোনো প্রার্থী দেয়া হবে না বলে জানিয়েছিলেন খেলাফত মজলিসের পৌর শাখার সভাপতি এম আব্দুল জলিল।
আব্দুল জলিল জানান, গত নির্বাচনে খেলাফত মজলিস নেতা আমিনুল ইসলাম আমিনকে তাদের প্রার্থী দিলেও এবার কোনো প্রার্থী দেয়া হয়নি।
বিগত পৌর নির্বাচনের মতো এবারও জামায়াত তাদের কোনো প্রার্থী দেয়নি। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ পৌর জামায়াতের আমির নাসির আহমদ বলেন, পৌরসভা উপ-নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত কোনো প্রার্থী দেয়া হয়নি। অন্য কোনো প্রার্থীকে জামায়াত সমর্থন দেবে কি-না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছাইনি। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
এছাড়া জাতীয় পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামও তাদের কোনো প্রার্থী দেয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান মুজিব জানান, গোলাপগঞ্জ পৌর উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী দেয়া হয়নি।
গত ৩১ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সিরাজুল জব্বার চৌধুরী মৃত্যুবরণ করায় মেয়র পদটি শূন্য হয়। শূন্যপদে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩ অক্টোবর পৌর মেয়র পদের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ছামির মাহমুদ/এএম/পিআর