সাংবাদিক নদীকে হত্যার রাতে বাড়ি ফেরেননি মিলন
বেসরকারি টেলিভিশন আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি সুবর্ণা নদী হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি ও নদীর সাবেক স্বামী রাজিবের সহকারী শামসুজ্জামান মিলনকে (৪২) গ্রেফতার করেছে র্যাব। র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের একটি দল অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে ঢাকার আরমানিটোলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার শামসুজ্জামান মিলন পাবনা শহরের গোপালপুর এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
রোববার দুপুরে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো. রুহুল আমিন এক ব্রিফিং এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নদী হত্যাকাণ্ডের রাতেই আবুল হোসেনকে গ্রেফতারের পর রাজিব ও মিলন গা ঢাকা দেন। মিলন ওই রাতে নিজ বাড়িতে না গিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন। পরদিন সকালে চাটমোহর যান এবং চাটমোহর থেকে খুলনা যান। খুলনা থেকে মংলায় তার বন্ধুর শশুর বাড়িতে কয়েকদিন অবস্থানের পর ঢাকার আরমানিটোলায় তার এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন করে থাকেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ১০টার দিকে র্যাবের টিম সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে। রোববার দুপুরে তাকে ডিবি পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
খুব দ্রুতই এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন এই র্যাব কর্মকর্তা।
গত ২৮ আগস্ট রাতে পাবনা শহরে ভাড়া বাসায় ঢোকার মুহূর্তে বেসরকারি টেলিভিশন আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি সুবর্ণা আক্তার নদীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নদীর মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে নদীর সাবেক স্বামী ও শ্বশুরসহ তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে এ ঘটনায় নদীর সাবেক শ্বশুর আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। তবে নদীর সাবেক স্বামী রাজিব হোসেন এখনও পলাতক।
একে জামান/আরএআর/এমএস