পঙ্গু হতে পারেন সিলেট সিটি মেয়র
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র ও বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণের আশঙ্কায় আছেন।
সুচিকিৎসা নিশ্চিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক জীবনযাপন না করলে পঙ্গু হয়ে চিরদিনের মতো শয্যাশায়ী হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুও হতে পারে। মেডিকেল রিপোর্টে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র ও বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর গঠন করা হয়েছে জরুরি মেডিকেল বোর্ড। রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে।
আরিফুল হক চৌধুরী বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। এমআরআই করার পর মাথা ও মেরুদণ্ডের মাঝামাঝি স্থানে কয়েকটি ক্র্যাক ইনজুরি ধরা পড়েছে। ৪, ৫ ও ৬ নং কডে ক্র্যাক ছাড়াও আরিফের রয়েছে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন ও হৃদরোগ।
মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, আরিফুল হক চৌধুরীর মেরুদণ্ডের জোড়ার জায়গাটি ভাঙা। সার্ভাইকাল কোডের ওপর বড় ধরনের চাপ রয়েছে। যদি হঠাৎ চাপ পড়ে তাহলে পঙ্গুত্ব ও মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমআরআই করার পর আরিফের যে সমস্যা ধরা পড়েছে তা ঝুঁকিপূর্ণ। এমন অসুস্থতা থেকে স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব এমনকি জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। এ অবস্থায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে আরিফের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
মেয়রপত্নী শ্যামা হক জানান, মেয়র আরিফের অবস্থা গুরুতর। এমআরআই রিপোর্টে মাথা ও তার মেরুদণ্ডের মাঝামাঝি স্থানে ক্র্যাক ইনজুরি ধরা পড়ায় স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব এমনকি জীবনের ঝুঁকিও রয়েছে। তিনি সিলেট নগরবাসীসহ দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সিটি মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি আরিফ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তার শরীরে রিং পরানো হয়। এর আগে ২০০০ সালে ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। ওই সময় তিনি ঘাড়ে প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হন। সম্প্রতি এমআরআই রিপোর্টে পুনরায় মাথা ও মেরুদণ্ডের মাঝামাঝি স্থানে কয়েকটি ক্র্যাক ইনজুরি ধরা পড়ে।
ছামির মাহমুদ/এআরএ/আরআইপি/এমএএস