পেটে গজ রেখে সেলাই, সন্তানের মৃত্যুর পর মায়েরও মৃত্যু
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় হালিমা বেগম (৩৫) নামের এক প্রসূতি ও সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। পেটের ভেতরে কাপড়ের গজ রেখে দ্বিতীয়বার অপারেশন করায় ওই প্রসূতি ও সন্তানের মৃত্যু হয়।
হালিমা বেগম চান্দিনা উপজেলার দেওকান্তা গ্রামের সাব্বির হোসেন ওরফে সিব্বির মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় হালিমার বড় ভাই আবুল কালাম রোববার রাতে বাদী হয়ে কচুয়া থানায় মামলা করেছেন।
কচুয়া থানা পুলিশের ওসি মো. আতাউর রহমান ভূঁইয়া বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে গৃহবধূ হালিমার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুরের মর্গে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু দুটি হাসপাতালের ঘটনা তাই কারা দোষী তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ আগস্ট হালিমা বেগমের প্রসবব্যথা ওঠলে কচুয়ার ফয়জুন্নেছা হাসপাতালে ভর্তি করলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সিজারের মাধ্যমে তার একটি কন্যাসন্তান প্রসব করায়। শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে চিকিৎসক ওই কন্যাসন্তানকে কুমিল্লার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠালে মৃত্যু হয়।
এদিকে, ফয়জুন্নেছা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রসূতি হালিমা বেগমকে ডাক্তারি পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠায়। বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে হালিমা বেগমের পেটের ব্যথা বাড়তে থাকে। পরে স্বজনরা তাকে পুনরায় ওই হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার জরায়ুতে টিউমার আছে বলে ওষুধ লিখে দেয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ সেবনের পরও হালিমা বেগমের পেটের ব্যথা ভালো না হওয়ায় তার স্বামী সাব্বির মিয়া গত ২৯ আগস্ট কুমিল্লার মনোহরপুর আদর্শ হাসপাতালে ভর্তি করায়।
এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, হালিমার পেটের ভেতরে একটি কাপড়ের গজ রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে তার অপারেশন করা প্রয়োজন। পরে দ্বিতীয়বার হালিমার অপারেশন করা হয়। পরবর্তীতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে হালিমা মারা যায়।
ইকরাম চৌধুরী/এএম/এমএস