চকলেটে চেতনানাশক মিশিয়ে শিশু ধর্ষণ, অবস্থা আশঙ্কাজনক
চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজারের মতিঝর্ণা এলাকায় চকলেটের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে হারুন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় ধর্ষক হারুনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা।
রোববার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে মতিঝর্ণা বস্তির ১০ নম্বর বেলালের কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. ফয়সাল কবির রোজার জাগো নিউজকে জানান, ধর্ষণের শিকার শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে তার। হাসপাতালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে তার চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে মা-বাবার অনুপস্থিতির সুযোগে পাশের ঘরের বাসিন্দা হারুন শিশুটিকে চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। পরে চকলেটের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে অচেতন অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে হারুনকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। তার পরিবারের কাছ থেকে জেনেছি চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে চকলেটের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে হারুন।
আবু আজাদ/বিএ/পিআর