সংঘাত এড়াতে শোক দিবসের কর্মসূচি বন্ধের নির্দেশ
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় একই স্থানে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। তাই সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে উভয়পক্ষের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে ইউএনও আছিয়া খাতুন এ নির্দেশ প্রদান করেন।
আছিয়া খাতুন জাগো নিউজকে জানান, শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ একই স্থানে একই সময়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্ব-স্ব সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় উভয়পক্ষকে অনুষ্ঠান না করার জন্য বলা হয়েছে। যদি এ নির্দেশ তারা না মানেন তবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আগামী ৩০ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ‘পরিষদ চত্বরে’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোক সভা ও মেজবান অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এতে প্রধান অতিথি করা হয়েছে ইউএনও আছিয়া খাতুনকে। এ লক্ষ্যে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়।
কিন্তু ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ব্যানারে একই স্থানে একই সময়ে আরও একটি শোক ও কর্মিসভা আহ্বান করায় জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন খোকনের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলার নির্বাহী কার্যালয়ে দু’পক্ষের বৈঠক হয়। এতে দুইপক্ষ স্ব-স্ব সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় উভয়পক্ষকে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ না করার নির্দেশ দেন ইউএনও।
শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারম জাগো নিউজকে বলেন, ‘অনুষ্ঠান উপলক্ষে পোস্টার, ব্যানার ও মেজবানের জন্য গরু-ছাগল কেনা হয়ে গেছে। প্রায় ৪ হাজার মানুষের জন্য আয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া পরিষদ চত্বরে মঞ্চ নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। কিন্তু, গতকাল ২৭ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি দলবদ্ধ হয়ে একইস্থানে মাইক লাগায় ও ডেকোরেশনের সরঞ্জাম জড়ো করে রাখে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানালে পুলিশ অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে কাজ বন্ধ রাখতে বলে।’
তবে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সেলিম দাবি করেন, ‘ওই স্থানে কোনে সভা আহ্বান করা হয়নি।’
জেডএ/এমএস