১৯টি গরুর একটিও বিক্রি হলো না শিকদারের
পিরোজপুরের পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে। দিন যতই এগিয়ে আসছে, হাটগুলোতে বাড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি। তবে দাম বেশি হওয়ায় বেচাকেনা একটু কম। অনেক ব্যবসায়ী কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় গরু বিক্রি করেননি।
জেলার ৭ উপজেলার ৫১টি ইউনিয়নের চারটি পৌরসভার ৪২টি স্থানে বসেছে গরুর হাট। উপকূলীয় দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় হাট বসেছে জেলার পোনা নদীর পশ্চিম পাড়ে।
হাট ঘুরে দেখা যায়, ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমুলা ইউনিয়নের দক্ষিণ শিয়ালকাঠীর লিয়াকত মার্কেট থেকে ধাওয়া ইউনিয়নের ফুলতলা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটারজুড়ে কোরবানির পশুর হাট বসেছে। স্থানীয় খামারি এবং যশোর, ঝিনাইদহ, মানিকগঞ্জ ও সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু বিক্রির জন্য এসেছেন ব্যবসায়ীরা।
রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বলেশ্বর ব্রিজ সংলগ্ন, পাঁপাড়া ও চৈলশা হাট ঘুরে দেখা যায়, এবার ভারতীয় কোনো গরু বাজারে নেই। দেশি গরুর আমদানি ও দাম বেশি। অনেকে আগামী হাটে গরু কেনার অপেক্ষায় বাড়ি ফিরে গেছেন।
তবে অনেক ক্রেতা জানিয়েছেন, এবার গরুর দাম গত বছরের চেয়ে একটু বেশি। বেশিরভাগ ক্রেতা ৩৫, ৪০, ৫০, ৬০ হাজার টাকায় গরু কিনতে চান। কিন্তু সেই তুলনায় দাম একটু বেশি।
চিংরাখালী গ্রামের বাসিন্দা জামাল মিয়া ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় দুটি গরু কিনেছেন। মাসুম শেখ নামের একজন ৫২ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছেন। পাশাপাশি পিরোজপুর পৌর এলাকার আবু সাঈদ নাইম ৮০ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছেন।
স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী শাহা সিকদার বলেন, ১৯টি গরু হাটে এনেছি। একটিও বিক্রি হয়নি। তবে দাম উঠেছে কয়েকটির। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় গরুটির দাম হাকা হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে। তবে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা হলে গরুটি বিক্রি করব। দাম উঠলে বাকিগুলোও বিক্রি করে দেব।
স্থানীয় গরু বিক্রেতা সুমন মিয়া বলেন, গোয়ালের একটি গরুর দাম হাকা হয়েছে ১ লাখ ৮৫ টাকা। ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দাম উঠেছে। ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা হলে এটি আমি বিক্রি করব।
এদিকে, দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত জেলার বাসিন্দারা শেষসময়ে এসে কোরবানির গরু কিনতে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয় সেজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী ২১ আগস্ট পোনা নদীর পশ্চিম পাড়ে হাট বসানোর ঘোষণা দিয়েছে।
গরুর হাটের পাশে বসা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খান মাসুম বিল্লাহ বলেন, পশুর হাটগুলোতে জালনোট শনাক্তকরণ বুথ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ ব্যাংক। হাটে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে জালনোট শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া। পশুর হাটগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
হাসান মামুন/এএম/জেআইএম