ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মিয়ানমার থেকে রেকর্ড সংখ্যক গবাদিপশু আমদানি

জেলা প্রতিনিধি | কক্সবাজার | প্রকাশিত: ০৪:৩৮ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৮

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ সময়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। কক্সবাজারের ৪৪টি পশুর হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণ দেশীয় গবাদিপশুর আমদানি হয়েছে। এর সঙ্গে বাজারে আসছে ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা গবাদিপশু।

তবে গত কয়েকদিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ করিডর দিয়ে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি এক প্রকার বন্ধ ছিল। কিন্তু গত শুক্রবার থেকে আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে আসায় রোববার পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যক প্রায় ১১ হাজার গবাদি পশু আমদানি করেছে আমদানিকারকরা।

টেকনাফ করিডর পশু আমদানিকারক সমিতির সভাপতি ও টেকনাফ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আব্দুল্লাহ মনির বলেন, এবারে কোরবানিতে আমাদের লক্ষ্য ৩০-৪০ হাজার পশু আমদানি করা। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে সে লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারব কি-না বুঝতে পারছি না। এরপরও রোববার পর্যন্ত টেকনাফ করিডর দিয়ে ১০ হাজার ৬০৩টি পশু বাংলাদেশে আনা সম্ভব হয়েছে। ৯ হাজার ৮৪৫টি গরু এবং ৭৫৮টি মহিষ আমদানির বিপরীতে আগস্ট মাসে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৫৩ লাখ ১ হাজার ৫০০ টাকা।

coxbazar

তিনি আরও জানান, ১৯ আগস্ট বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১ হাজার ৩৮৩টি গরু ও ১৯৮টি মহিষ এসেছে। শনিবার ১৮ আগস্ট এসেছে ১ হাজার ৯১৯টি গরু এবং ২৫৮টি মহিষ। তার আগের দিন ১৭ আগস্ট শুক্রবার এসেছে ১ হাজার ৫২টি গরু ও ৭৭টি মহিষ। এছাড়া চলতি মাসের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ১২দিনে পশু আমদানি হয়েছে ৫ হাজার ৪৯১টি গরু এবং ২৩২টি মহিষ। করিডর করার পর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক পশু এসেছে শনিবার (১৮ আগস্ট)।

টেকনাফের পশু আমদানিকারকরা বলেন, বৈরি আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় গত কয়েক দিন মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু বোঝাই কোনো ট্রলার করিডরে আসতে পারেনি। তবে এখন বৈরি আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি আবারো শুরু হয়েছে। আশা করছি ২১ আগস্ট পর্যন্ত আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে মিয়ানমার থেকে রেকর্ড পরিমাণ গবাদি পশু আমদানি করা সম্ভব হবে। এতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন পশুর হাটে কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।

coxbazar

টেকনাফ শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ২৫ মে মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে গবাদিপশু আসা রোধে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ জেটি ঘাট বিজিবির চৌকি সংলগ্ন এলাকায় এ করিডর চালু করা হয়। আমদানিকৃত গবাদি পশু প্রথমে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে টেকনাফ সদরে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকে রাজস্ব জমা এবং স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের অনুমতি নিয়েই পশুগুলো করিডর থেকে ছাড় পায়।

সূত্রটি আরও জানায়, চলতি মাসে মিয়ানমার থেকে ১০ হাজার ৬০৩টি পশু আমদানি করা হয়েছে। এখান থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৩ লাখ ১ হাজার ৫০০ টাকা। যা গত জুলাই মাসের রাজস্ব আয়ের চেয়ে ২২ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা বেশি।

টেকনাফ শুল্ক স্টেশন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও পশু আমদানিতে ৫৩ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে সরকার শাহপরীদ্বীপ করিডোরে কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/জেআইএম

আরও পড়ুন