ফেরির অপেক্ষায় চার দিনে ১৬ গরুর মৃত্যু
শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ইব্রাহিমপুর ঘাটে ফেরি স্বল্পতা থাকায় বুধবার থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লাগে। এতে ওই চার দিনে প্রায় সাড়ে ৩শ পণ্যবাহী যানবাহন ঘাটে আটকা পড়ে। এরমধ্যে কোরবানির গরুবাহী ট্রাক ছিল শতাধিক। কিন্তু নদী পার না হতে পেরে অতিরিক্ত গরমে গত চার দিনে ১৬টি গরুর মৃত্যু হয়েছে।
তবে আজ রোববার ইব্রাহিমপুর ঘাটে যানবাহনের চাপ অনেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুর ইব্রাহিমপুর ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার।
ট্রাকচালক ও গবাদিপশু ব্যবসায়ীরা জানান, শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের সদর উপজেলার মনোহর বাজার থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার ইব্রাহিমপুর ফেরি ঘাট পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়ক নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে এ সড়ক দিয়ে চার মাস যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
এ সময়টাতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথ দিয়ে পারাপার হচ্ছিল।
কিন্তু সম্প্রতি নাব্য সঙ্কটের কারণে ওই ঘাটে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে গত বুধবার থেকে পণ্যবাহী যানবাহনগুলো শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কটি ব্যবহার করে চট্টগ্রাম অঞ্চলে যাতায়াত শুরু করেছে।
ইব্রাহিমপুর ফেরি ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ তবুল্লাহ্ জানান, ফেরিঘাটে যানজট লেগেই থাকে। গত কয়েকদিন ঘাটে অপেক্ষায় ছিল অনেক গরুর ট্রাক। অতিরিক্ত গরমে অন্তত ১৬টি গরু মারা গেছে। তবে আজ যানজট অনেকটা কম।
কোরবানির গরু নিয়ে ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, মাগুরা, ফরিদপুর, নাড়াইল, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা ও বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন পশুর হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। ওই ব্যবসায়ীরা দ্রুত ও কম খরচে হাটে পৌঁছার জন্য শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করছেন।
প্রথমে এ নৌরুটে দুটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছিল। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে কেতকি নামে আরেকটি ফেরি চলাচল শুরু করেছে।
ছগির হোসেন/এফএ/এমএস