পদ্মার পেটে চারতলা বিলাসবহুল বাড়ি
ফের ভাঙন শুরু হয়েছে পদ্মায়। আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন মানুষ। শনিবার রাতেও শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মুলফৎগঞ্জ বাজার সংলগ্ন হযরত খাজা মঈন উদ্দিন চিশতী (গাজী কালুর মেহমান খানা) নামে চারতলা বিলাসবহুল বাড়িটি পদ্মার গর্ভে চলে গেছে। একই সময় খান বাড়ি জামে মসজিদ ও মোহাম্মদ দিলু খার দোতলা পাকা বাড়িটিও গেছে পদ্মার পেটে।
এছাড়াও ঝুঁকিতে রয়েছে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মূলফৎগঞ্জ বাজারটি। তাই সরিয়ে নেয়া হচ্ছে সব ধরনের মালামাল ও স্থাপনা। যেকোনো সময় পদ্মা থাবা দিতে পারে বাজার ও হাসপাতালটিতে।
শুধু তাই নয় শনিবার দুপুরে নড়িয়া-মূলফৎগঞ্জের একমাত্র সড়কের নড়িয়া বাঁশতলা থেকে পূর্ব নড়িয়া মূলফৎগঞ্জ বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার পদ্মা নদীর গর্ভে চলে গেছে।
শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলায় ফের পদ্মায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। দিন যত পার হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভাঙন ততই তীব্র আকার ধারণ করছে। ভাঙনে দিশেহারা মানুষগুলো নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। তাই ভাঙন প্রতিরোধে সরকারের কাছে দ্রুত বেড়িবাঁধের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
গোলাম ফারুক বাবুল জানান, শনিবার দুপুরে ওই বাড়িটির ছবি মোবাইলে তুলেছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় রাতে শুনলাম বাড়িটি পদ্মার গর্ভে চলে গেছে। এভাবে ভাঙন চলতে থাকলে বেশি দিন লাগবে না শরীয়তপুরের মানচিত্র থেকে নড়িয়া হারিয়ে যেতে।
আসাদুজ্জামান জানান, নড়িয়া উপজেলার সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, ঘরবাড়ি, দোকান ঘর, গাছপালা, ফসলি জমি পদ্মায় তলিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। তাই খুব দ্রুত নড়িয়া উপজেলা রক্ষায় পদ্মা নদীর ডান তীরে বাঁধের পদক্ষেপ নেয়া উচিত বাংলাদেশ সরকারের।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ভাঙন শুরুর বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পদ্মার ভাঙন প্রতিরোধে খুব শিগগিরই বেড়ি বাঁধের কাজ শুরু করা হবে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, বিলাসবহুল বাড়িটি পদ্মায় তলিয়ে গেছে শুনে সকালে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ দিক অথবা অক্টোবরের প্রথম দিকে ভাঙন কবলিত নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার ৯ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধের কাজ শুরু করবে সরকার।
ছগির হোসেন/এফএ/এমএস