টুংটাং শব্দে মুখর কামারপল্লী
আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের কামার পল্লীতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। প্রচণ্ড গরমেও টুংটাং শব্দে মুখরিত কামারপল্লী। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে কামারপাড়া ততই সরগরম হয়ে উঠছে৷ দিন-রাত সমানতালে চলছে ছুরি, চাপাতি, দা, বটি, ভোজালি, কুড়াল তৈরি ও শান দেয়ার কাজ৷ তবে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর দাম একটু বেশি।
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের নিমগাছী বাজার, তাড়াশের বাসস্ট্যান্ড, বারুহাস, মহিষলুটি, উল্লাপাড়ার শ্যামলীপাড়া, বিসিক বাসস্ট্যান্ড, শাহজাদপুরের মনিরামপুর বেলকুচির সেননগর কাজিপুরের সোনামুখি, বাসস্ট্যান্ডসহ শহরের কামার পল্লীগুলোতে এখন চরম ব্যস্ততা। অনেকে অর্ডার নেয়া ইতোমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছেন।
শহরের সয়াধানগড়া গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন বলেন, পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কিনতে এসেছি। এ বছর দাম একটু বেশি নেয়া হচ্ছে।
সদর উপজেলার বাহিরগোলা কামারপল্লী এলাকার সঞ্চয় ও কার্তিক জানান, বর্তমানে কয়লা ও রডের দাম বেড়ে যাওয়ায় শান দেয়ার মজুরি ৪০ টাকা থেকে ১শ ২০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে৷ এছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনেকে শান দিচ্ছেন।
কামার তালেব সরকার বলেন, কোরবানির ঈদে আমাদের বেশ আয় হয়। সেটা দিয়েই সারা বছর সংসার চালাতে হয়।
রায়গঞ্জ উপজেলার নিমগাছী বাজারের কামার শুভ চন্দ্র জানান, ছোট ও বড় ছুরি শান দিতে ৪০ টাকা থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ছোট ছুরি ৫০ টাকা, দা ৩শ, হাঁসুয়া ১২০ টাকা, বটি ২শ ও চাপাতি ২শ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এফএ/এমএস