চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নির্মিত হচ্ছে ‘পক্ষীশালা’
পাখি দেখতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু শহুরে জীবনে সে সুযোগ কোথায়। মানুষইতো যেন খাঁচায় বন্দি একেকটি পাখি! তবে নাগরিক জীবনের সেই অপূর্ণতাকে পুষিয়ে দিতে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নির্মিত হচ্ছে ন্যাচারাল মিনি এভিয়ারি বা ছোট পক্ষীশালা।
ইতোমধ্যে ‘পক্ষীশালা’ নির্মাণ কাজ ও পাখি কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে চট্টগ্রামের দর্শণার্থীরা চিড়িয়াখানায় এসে দেখতে পাবেন নানান জাতের পাখি।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন এই পক্ষীশালা নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছেন। এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার নিজস্ব তহবিল থেকেই এই টাকার যোগান দেয়া হবে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন জাগে নিউজকে বলেন, মিনি এভিয়ারির জন্য অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। আর দেশি-বিদেশি পাখি কিনতে খরচ হচ্ছে ১৪ লাখ টাকা। পক্ষীশালার জন্য ৪০টি লাভ বার্ড, ১০০টি লাফিং ডাভ, ২০টি ফিজেন্ট, ২০টি রিং নেড পেরোট, ১০০টি ককাটিয়েল এবং দুটি ম্যাকাও কেনা হবে।
দৈর্ঘ্যে ৬০ ফুট আর প্রস্থে ২৫ ফুট আয়তনের পক্ষীশালাটি আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক উদ্বোধন করবেন বলে জানান রুহুল আমিন।
১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় ছয় একর জায়গা নিয়ে নির্মিত হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। এটিই দেশের একমাত্র চিড়িয়াখানা যার ব্যয় নির্বাহ হয় দর্শণার্থীদের টিকিট বিক্রির টাকায়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ চিড়িয়াখানায় বর্তমানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বাঘ, সিংহ, হরিণ, কুমির, অজগর, ভাল্লুকসহ প্রায় ৪৭ প্রজাতির প্রাণী।
দীর্ঘদিন পর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকা খরচ করে আনা হয় এক জোড়া বাঘ। এর আগে ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ‘অদল-বদল’ প্রক্রিয়ায় রংপুর চিড়িয়াখানায় একটি সিংহী দিয়ে একটি সিংহ আনা হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয় ছয়টি জেব্রা।
জেডএ/এমএস