বিকেল হলেই হাটে দাম কমছে পশুর
আর মাত্র চারদিন পরই কোরবানির ঈদ। তাই শেষ মুহূর্তে বেশ জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার পশুহাটগুলো । হাটে গরু-ছাগলের আমদানি যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা। তবে প্রথম দিকের চেয়ে শেষ সময়ে এসে হঠাৎ বাজারের চেহারা খানিকটা পাল্টে গেছে। আগের চেয়ে এখন পশুর দাম কিছুটা কম।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারী পশু হাটে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দূর-দূরান্ত থেকে খামারি ও ব্যবসায়ীরা গরু-ছাগল হাটে নিয়ে আসছেন। শেষ মুহূর্তে পশুর দাম পড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারি ও স্থানীয় ব্যাপারীরা। আমদানির তুলনায় বিক্রি হচ্ছে না।
আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ গ্রামের গরু ব্যাপারী আবুল হাসেম জানান, হাটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা উপায়ে চেষ্টা করেও আশানুরূপ দর না পেয়ে গরুগুলো বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
হাটে গরু বিক্রি করতে আসা সুটিয়া গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, দুপুরে গরুর দাম একটু ভালো থাকলেও বিকেলে দাম একেবারে কমে গেছে। আমার একটি গরুর দাম দুপুরে ৯৫ হাজার টাকা বলেছিল ক্রেতারা। কিন্তু আরো বেশি দামের আশায় ওই সময় গরু বিক্রি না করে সন্ধ্যা পর্যন্ত রেখে দিয়েছি। সন্ধ্যার আগে এক ক্রেতা গরুর দাম ৮০ হাজার টাকা বললেও পরবর্তীতে আর কোনো ক্রেতা না আসায় বাধ্য হয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে ছাগলেরও একই অবস্থা। দুপুরে যে ছাগলের দাম ২০ হাজার টাকা সে ছাগল বিকেলে ১৫ হাজার টাকায় পাওয়া গেছে। গরু-ছাগলের ব্যাপক আমদানিতে শুধু ব্যাপারীরা নয় পালনকারীরাও বিক্রি নিয়ে শঙ্কিত।
তবে গরু-ছাগলের দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা বেজায় খুশি। ছাগল ক্রেতা দত্তনগরের মামুন জোনায়েদ বলেন, প্রায় ২৮ কেজি ওজনের একটি ছাগল ১৭ হাজার টাকায় কিনতে পেরে ভালো লাগছে।
এদিকে হাট মালিকের পক্ষ থেকে সন্ধ্যায় পশু ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সুবিধার্থে জেনারেটরের মাধ্যমে লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল থেকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
সালাউদ্দীন কাজল/এফএ/পিআর