নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস দোকানে, স্কুলছাত্রীসহ নিহত ৩
রাজশাহী নগরীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানের ভেতর ঢুকে গেছে যাত্রীবাহী বাস। এতে ঘটনাস্থলে এক স্কুলছাত্রীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নওদাপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নগরীর শাহমখদুম থানাধীন পবা মঠপুকুর এলাকার ইসলাম উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল হোসেন টিংকু (২৫), পবাপাড়া এলাকার শাখাওয়াত হোসেন সবুজ (২৮), নগরীর বড়বনগ্রাম ভাড়ালীপাড়া এলাকার রুস্তম আলীর মেয়ে শারমিনা আশরাফি আনিকা (১২)।
নিহত আনিকা নগরীর উপকণ্ঠ নওহাটা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বোনের সঙ্গে দেখা করতে নওপাড়া হামিদপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে এসেছিল সে।
নিহত টিংকু ও সবুজ পেশায় কেবল অপারেটর। সবুকের সাদিয়া জাহান শোভা (৭) এবং তাসফিয়া জাহান রিফা (৬ মাস) নামের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে টিংকু ৫ বোনের একমাত্র ভাই। বছর দুয়েক আগে বিয়ে করেছেন তিনি। দুর্ঘটনার পর দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। আহতরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত যাত্রীবাহী বাসটি (রাজশাহী মেট্রো-জ-০৪-০০০৪) নগরীর নওদাপাড়া কেন্দ্রীয় টার্মিনালে যাচ্ছিল। পথে নওদপাড়া বাজারে প্রবেশের আগেই সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়।
পরে নওদাপাড়া বাজারে গিয়ে আরও দুটি ইজিবাইক ও একটি মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দেয়। একপর্যায়ে মহাসড়ক থেকে নেমে নওহাটাগামী দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপা দিয়ে দোকানে ঢুকে যায়। এতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ বাসটি জব্দ করে থানায় নেয়। তার আগেই পালিয়ে যান চালক।
এ ঘটনার পর রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। এরপর ঘণ্টাখানেক সড়কে যান-চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের। পরে আহতদের দেখতে রামেক হাসপাতালে যান তিনি।
জেলা প্রশাসক আবদুল কাদের বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে যান নগর পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএ/এএম/পিআর/জেআইএম