ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কুমিল্লার কলঙ্ক মোশতাক ও রশিদ

কামাল উদ্দিন | কুমিল্লা | প্রকাশিত: ১০:৩৯ এএম, ১৫ আগস্ট ২০১৮

আজ ভয়াল ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে বর্বরোচিত ও কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছিলেন। নির্মম এ হত্যাযজ্ঞ পরিকল্পনাকারীদের অন্যতম ছিলেন কুমিল্লার খন্দকার মোশতাক আহমদ। আর কিলিং মিশনে অংশ নেয়াদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তারই ঘনিষ্ঠ সহচর মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ও বিদেশে পলাতক কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আবদুর রশিদ।

খন্দকার মোশতাকের বাড়ি জেলার দাউদকান্দি উপজেলার দশপাড়ায় এবং কর্নেল রশিদের বাড়ি চান্দিনা উপজেলার ছয়গড়িয়া গ্রামে। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দায়ের করার আগে মারা গিয়ে খন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার দায় থেকে রেহাই পেলেও ফাঁসির দণ্ড মাথায় নিয়ে বর্তমানে বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ফ্রিডম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার রশিদ।

অভিশপ্ত ১৫ আগস্ট এলেই আলোচনায় উঠে আসে কুমিল্লার মানুষের কাছে ধিকৃত এই দু’জনের নাম। রশিদকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে মামলার রায় কার্যকর করার দাবি এখন কুমিল্লার সচেতন রাজনৈতিক মহলের।

খন্দকার মোশতাক আহমদ

খন্দকার মোশতাক আহমদ বঙ্গবন্ধুর অতিভক্ত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর তোষামোদী করে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভায় বিদ্যুৎ, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রীর পদটিও বাগিয়ে নেন। তিনি ছিলেন, বাকশালের তৃতীয় শীর্ষ নেতা। আওয়ামী লীগের ভেতর মোশতাক ডানপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সব সময় মাথায় থাকত জিন্নাহ-ক্যাপ, হাতে ধূমপানের পাইপ। অতিবিনয়ী ভদ্রতার মুখোশপরা মুখচোরা হাসিতে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলতেন। ১৫ আগস্টের পরিকল্পনাকারীদের অন্যতম ছিলেন তিনি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ঘাতক রশীদের চাচা মুশাররফ হুসাইন ছিলেন মোশতাকের বন্ধু। চাচার মাধ্যমেই মোশতাকের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করেন রশীদ। ১৯৭৫ সালের ২ আগস্ট পুরান ঢাকার আগামাসি লেনে সাদা পোশাকে খন্দকার মোশতাকের বাসায় যান রশীদ। সেসময় তারা দেশের রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন এবং বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলে পরিস্থিতি কেমন হবে সেটা জানতে চান রশীদ। মোশতাক তখন উত্তর দেন, ‘দেশের জন্য সেটা ভালো হবে।’

Comilla-pic-7

বঙ্গবন্ধুর পরে ক্ষমতায় কে বসবে এ প্রশ্ন করেছিলেন মোশতাক আহমেদ। উত্তরে রশীদ বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কেউ যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে।’ এতে মোশতাক বুঝে নিয়েছিলেন যে তাকেই ক্ষমতায় বসাতে চাচ্ছে রশীদরা। সেই সঙ্গে মোশতাক বঙ্গবন্ধুকে খুনের ষড়যন্ত্র সম্পর্কেও স্পষ্ট বার্তা পেয়েছিলেন হত্যাকাণ্ডের ১৩ দিন আগেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে তিনি সতর্ক করেননি বা রশীদ-ফারুকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।

এ থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান যে, মোশতাক ছিলেন একজন ষড়যন্ত্রকারী। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতার মোহে অন্ধ খন্দকার মোশতাক মীর জাফরী কায়দায় রাষ্ট্রপতির পদে ক্ষমতায় মাত্র ৮৩ দিন অবস্থান করতে পারলেও পরে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের চালে ক্ষমতাচ্যুত হতে বাধ্য হন। আশ্রয় নেন পুরান ঢাকার আগামাসি লেনের বাড়িতে। চারতলার বাড়িটির তিনতলার সুরক্ষিত একটি কক্ষে বাস করতেন। ক্ষমতায় বসে ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে খন্দকার মোশতাক সরকার ইমডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন।

তিনি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান পরিবর্তন করে এর স্থলে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ স্লোগান চালু করেন। এই সময় তিনি ‘বাংলাদেশ বেতার’র নাম পরিবর্তন করে ‘রেডিও বাংলাদেশ’ করেন।

তার শাসনামলেই চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (ওই বছরের ৩ নভেম্বর) হত্যা করা হয়।

মোশতাক আহমেদ ১৯৭৫ সালের ৫ নভেম্বর সেনাবিদ্রোহের দ্বারা অপসারিত হন। ১৯৭৬ সালে মোশতাক আহমেদ ডেমোক্রেটিক লীগ নামক এক নতুন দল প্রতিষ্ঠা করেন। একই বছর সামরিক শাসককে অপসারণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ২টি দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয় এবং আদালত তাকে ৫ বছরের শাস্তি প্রদান করেন।

জেল থেকে মুক্তিলাভের পর তিনি আবার সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন। হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রিসিপশনিস্ট কাম রেসিডেন্ট পিএ আ.ফ.ম. মুহিতুল ইসলাম ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এর আগেই ওই বছরের ৫ মার্চ মোশতাক মৃত্যুবরণ করেন। ফলে হত্যার দায় থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি।

পের জনগণের ক্ষোভ আর ঘৃণার মুখে পুলিশ প্রহরায় দাউদকান্দির দশপাড়ায় তাকে দাফন করা হয়। বর্তমানে সীমানা প্রাচীরে ঘেরা তার বাড়িতে দোতলা একটি ভবন রয়েছে। এছাড়াও একটি মসজিদ ও পারিবারিক কবরস্থানও রয়েছে। অন্য কবরে নামফলক থাকলেও মোশতাকের কবরে তা নেই। প্রথমে থাকলেও পরে তা সরিয়ে ফেলা হয়।

মোশতাকের একমাত্র ছেলে খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রে, মেয়ে খন্দকার শিরিন সুলতানা ও ডা. খন্দকার নাজনীন সুলতানা লন্ডনে থাকেন।

comilla-pic-3

খন্দকার মোশতাক আহমদের বাড়ি

বাড়িটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সেখানে জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের দাবি স্থানীয়দের। এরই মধ্যে এলাকায় থাকা কলেজ, মাদরাসা ও ঈদগা থেকে মোশতাক ও তার বাবা মাওলানা কবির উদ্দিনের নাম মুছে ফেলেছে এলাকাবাসী। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্তৃক একাধিকবার তার বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হয়।

সর্বশেষ গত বছরের ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপজেলার দশপাড়া থেকে মোশতাকের বাড়ি অপসারণের জন্য বিক্ষোভ সমাবেশসহ বাড়ি ঘেরাও করার চেষ্টা চালায়। মোশতাকের একমাত্র ছেলে খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ আগে মাঝে মধ্যে পরিবারের সদস্যদের কবর জিয়ারত করতে বাড়ি এলেও গত ৫-৬ বছর যাবৎ জনরোষের ভয়ে বাড়িতে আসেন না। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে আলোচিত বাড়িটি।

খন্দকার আবদুর রশিদ

২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এখনও আলোচনার শীর্ষে রয়েছে কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ।

চান্দিনায় অনুসন্ধানে জানা যায়, বহুল আলোচিত ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ক্যাডার বাহিনী নিয়ে অনেকটা কেন্দ্র দখল করেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন খন্দকার আবদুর রশিদ। ওই বিতর্কিত নির্বাচনের সময় বিভিন্ন পথসভায় হাসতে হাসতেই তিনি বঙ্গবন্ধুকে খুনের কথা স্বীকার করতেন। ভোটের দিন উপজেলার ৫১টি কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে রাখতে গঠন করা হয় বিশেষ ক্যাডার বাহিনী। ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নামে মাত্র থাকলেও রশিদের ‘তার’ মার্কায় প্রকাশ্যেই সিল মারে তার ক্যাডাররা।
তখন প্রশাসন ছিল নীরব দর্শক মাত্র। ফলাফলে ৬০ হাজার ৯৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন রশিদ। নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য, বর্তমানে এলডিপি মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেদোয়ান আহমেদ পান মাত্র তিন হাজার ৩৪১ ভোট। অপরদিকে আবদুল কাদের জিলানী ৪৮৩ ও সহিদ উল্লাাহ সরকার ৪৯৪ ভোট পান।

কর্নেল রশিদের গ্রামের বাড়ি চান্দিনার ছয়গড়িয়ায়। বর্তমানে নিকটাত্বীয়ের সঙ্গে ওই পরিবারের গোপনে কিছু যোগাযোগ থাকলেও এলাকার কেউই এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। খন্দকার রশিদ বিদেশে কোথায় পলাতক রয়েছেন সেটা চান্দিনায় গিয়েও জানা সম্ভব হয়নি।

১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে অবস্থা বেগতিক দেখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান রশিদ। তবে মেয়ে মেহনাজের সঙ্গে তার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।

গ্রামবাসী জানান, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের সময় কর্নেল রশিদ জমির বিনিময়ে এবং লিবিয়া পাঠানোর নামে লোকজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা লোপাট করে নির্বাচনের দিন রাতেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। বিতর্কিত ওই নির্বাচন বাতিল হওয়ার পর ১২ জুনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আলী আশরাফ বিজয়ী হন।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের সময় রশিদের মেয়ে মেহনাজ এলাকায় এলে স্থানীয় প্রতারিত লোকজনের তোপের মুখে পড়েন। সেসময় মোবাইল ফোনে মেহনাজ অজ্ঞাত স্থানে অবস্থানরত কর্নেল রশিদের সঙ্গে প্রতারিত লোকদের আলাপ করিয়ে দিয়ে নির্বাচনের পর টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেন।

বাবার নির্দেশে সেই নির্বাচনে হাতি মার্কা নিয়ে মেহনাজ নির্বাচন করে ১৩৫ ভোট পেয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের পর একই গ্রামের রুকু মিয়া ভূঁইয়া নামের এক ব্যক্তির ১৬ লাখ টাকা টাকা ফেরত না দেয়ায় ২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল মেহনাজ গ্রামের বাড়িতে এসে লাঞ্ছিত হন।

Comilla-rashid-house-4

খন্দকার আবদুর রশিদের বাড়ি

স্থানীয়রা জানান, রশিদের বাবা অবসরপ্রাপ্ত পোস্ট মাস্টার করিম খন্দকার ব্যক্তিগতভাবে সজ্জন লোক ছিলেন। কিন্তু স্বপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার কারণে তিনি আমৃত্য ছেলের (রশিদ) সঙ্গে কথা বলেননি। তার অর্থও গ্রহণ করেননি।

১৯৯৪ সালে তিনি মারা যাওয়ার আগে তার নামাজে জানাজায় যেন রেন্টু (রশিদের ডাক নাম) উপস্থিত না থাকে, মরদেহ স্পর্শ না করতে পারে সেই অছিয়ত করে যান। তাই বাবার মৃত্যুর পর তার জানাজায় রশিদকে অংশ নিতে দেয়নি আত্মীয় স্বজনরা।

ঘাতক রশিদের সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অন্যতম খলনায়ক ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কর্নেল (অব.) আব্দুর রশিদের চান্দিনার সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে সরকার। ২০১৫ সালের ১৪ জুন সরকারের পক্ষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোলের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বাড়িসহ ৬.১২ একর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ৬টি সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়।

এর আগে ১৯৯৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর একই ভাবে আদালতের নির্দেশে খুনি রশিদের আরও ১০.৮২ একর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর ফলে রশিদ ও তার পরিবারের প্রায় ১৭ একর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সরকার।

বিদেশে পলাতক ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঘাতক কর্নেল রশিদ প্রসঙ্গে কুমিল্লার প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আফজল খান জানান, মোশতাক-রশিদদের কারণে কুমিল্লাকে ইতিহাসের পাতায় কলঙ্কিত করা হয়েছে। তাই ঘাতক রশিদকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে পারলেই হয়তো আমরা দায়মুক্তি পাব।

কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক মুজিব জানান, স্বপরিবারে জাতীর জনকের ঘাতক খন্দকার রশিদসহ বিদেশে পলাতক অন্যান্য ঘাতকদের দেশে ফিরিয়ে এনে তার ফাসির রায় কার্যকর করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ঘাতক রশিদকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে না পারলে ইতিহাসের কালো অধ্যায়ে কুমিল্লার নাম থেকেই যাবে।

কামাল উদ্দিন/এফএ/পিআর

আরও পড়ুন