ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শেরপুর সদর হাসপাতালে সেচ্ছাশ্রমি ডপ্স’র পরিচ্ছন্ন অভিযান

প্রকাশিত: ১২:৩৩ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০১৪

হাসপাতাল মানেই ময়লা, দুর্গন্ধ, পানের পিক আর কফ-কাশে ভরা এক ভাগাড় মনে করেন অনেকেই। সাধারণত সরকারি হাসপাতালগুলোতে এ দৃশ্য দেখতে দেখতে সাধারণ মানুষ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় লোকবল, সুইপার ও ঝাড়ুদার সল্পতার কারণে এবং দর্শনার্থী ও রোগীদের সচেতনতার অভাবেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয় দেশের বেশির ভাগ হাসপাতালগুলো।

শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালও এর ব্যাতিক্রম নয়। তবে দুর্গন্ধযুক্ত এ হাসপাতালের পরিবেশ কিছুটা দুর্গন্ধমুক্ত করতে উদ্যোগী হয়ে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালটি ধোয়া মোছার কাজ করলেন সেচ্ছাশ্রমি বেসরকারী সংগঠন ডপ্স। রোবাবর দিনব্যাপী ডপ্স তাদের সেচ্ছাশ্রমি ২০ জন শিক্ষার্থী উদ্যোগী হয়ে ঈদের ঠিক আগের দিন এ ধোয়া মোছার কাজ করলেন।

কারণ হিসেবে জানা যায়, ঈদের আগে হাসপাতালে তেমন কোন গুরুতর আহত ও অসুস্থ না থকালে সকলেই বাড়ি চলে যান। ঈদের পরের দিন আবার হাসপাতালে ফিরে আসেন। এ সময় হাসপাতাল ওয়ার্ডগুলো থাকে প্রায় রোগী শুণ্য। আর এ সুযোগে হাসপাতালের ধোয়ামোছর কাজ করতে সুবিধা হয়। ডপ্স এর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভার্সিটিসহ বিভিন্ন কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীও রয়েছে। তারা মূলত ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করলেও হাসপাতালের মতো গুরুত্ব পূর্ণ প্রতিষ্ঠানকেও পরিস্কার-পরিচ্ছতা রাখার প্রয়োজন মনে করে ডপ্স এ কাজে হাত দেন।

এতে হাসপাতালে আগত রোগী ও দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দে এবং সুস্থ পরিবেশে তাদের রোগীর চিকিৎসা করাতে পারবেন বলে মনে করেন ডপ্স এর পরিচালক ও সেনা সদস্য মো.শাহিন মিয়া।

ডপস্ পরিচালক ও সেনা সদস্য ল্যান্স কর্পোরাল শাহীন জানান, স্বেচ্ছায় কোন উন্নয়নমূলক কাজে শ্রম দেয়া তার এবং তার সংগঠনের নেশা। কিছু দিন আগে তিনি তার স্ত্রীকে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসে এটি অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা অবস্থায় দেখতে পান। এ হাসপাতালে যেহেতু নিজেদের বাবা-মা, ভাই-বোন আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরাই চিকিৎসার জন্য আসেন। তাই ঈদের ছুটিতে তিনি এবং তার সংগঠনের প্রায় ৩০ সদস্যরা বাড়ি এসে শেরপুর জেলা হাসপাতাল পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নেন।

জেলা হাসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, হাসপাতাল অপরিচ্ছন্ন থাকলে ময়লা-আবর্জনা থেকে ভর্তি রোগীদের ইনফেকশন হতে পারে। এ জন্য আমরা সিভিল সার্জনের নির্দেশে পান-সুপারি-জর্দা বিরোধী অভিযান চালিয়ে আসছি। ডপস্ এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছাশ্রমে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে এগিয়ে আসায় খুব ভালো হয়েছে। এতে হাসপাতালের পরিবেশ উন্নত হবে। খুবই ভালো একটি উদ্যোগ বিধায় আমরাও সার্বিকভাবে তাদের সহায়তা করেছি।