পাকশী পেপার মিল চালুর বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত
পাবনা জেলার পাকশীতে পদ্মানদীর তীরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিকটবর্তী স্থানে নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলস। মিলটি এখন মৃত প্রায়। তবে মাঝে পাকশী নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলের কর্তৃপক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকরিতে পুনবহালের আশ্বাস দিয়ে ছিল। কিন্তু বর্তমানে এ নিয়ে নানা টালবাহানা চলছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, মামলার বাদী ও পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কতিপয় অদক্ষ ব্যক্তির একগুঁয়েমির কারণে দুইবার সুপ্রিমকোর্টের দেয়া রায় বাস্তবায়ন হয়নি। বিসিআইসি তৃতীয় বার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে গত ৮ জুন বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে রায় দেন। এতে বলা হয় রিট আবেদনকারীরা তাদের দ্বারা গৃহীত সুবিধাগুলি ফেরত দেয়ার পরই কেবল পুনর্বহাল হতে পারে। তাদের পুনর্বহালের পর তারা বকেয়া বেতন এবং অন্যান্য সুবিধার অধিকারী হবে না।
এ রায়ের ফলে যাদের চাকরির বয়স নেই তারা কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত হবে না। এমনকি যারা চাকারিতে যোগদান করবে তারাও বকেয়া বেতন অন্যান্য সুবিধা এমনকি গ্রাচুয়িটিও পাবেন না। এ রায়ে শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। তারা ইতোপূর্বে হাইকোর্টের রায় সুপ্রিমকোর্টের দুইবার দেয়া রায় স্থানীয় এমপি-মন্ত্রী তথা সরকার দলীয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় বাস্তবায়নের চেষ্টা করার দাবি করলেও তারা তা না করে একগুয়েমির কারণে মামলাটির ক্ষতি হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
তারা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, মামলার বাদী যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করায় শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে।
সর্বশেষ রায় প্রসঙ্গে বিসিআইসির এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ২০০২ সালে বিএনপির শাসনামলে বন্ধকৃত শিল্পকারখানার এত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের পুনরায় কোথায় চাকরি দিবে বর্তমান সরকার? খুলনা মিলের রায় বাস্তবায়ন হলে পাকশী পেপার মিলের রায় বাস্তবায়ন কেন হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সবই সম্ভব। এ রায়ের বিরুদ্ধে আবারও আপিল করে মামলাটি স্থগিতাদেশ চাওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আলাউদ্দিন আহমেদ/আরএ/এমএস