সন্তানকে বাঁচাতে আঁচল পেতেছেন মা
আমির হামজার বয়স মাত্র ১৩ মাস। ফুল হয়ে ফুটবার আগেই ঝরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে তার। হার্টে ছিদ্র ধরা পড়েছে আমির হামজার।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসায় তার পেছনে প্রায় দু’লাখ টাকা খরচ করেছে তার হতদরিদ্র পরিবার। এখন আর চিকিৎসা চালিয়ে নেয়ার সমর্থ নেই বাবা-মায়ের। অথচ সন্তানের হার্টের অপারেশন করাতে হবে। অনেক টাকা প্রয়োজন বলে জানালেন তার মা রোজিনা বেগম।
যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের কেফায়েতনগর গ্রামের বাসিন্দা হতদরিদ্র সেলিম মোল্যার ছেলে আমির হামজা। তিনি কাজ করেন স’মিলে। স্ত্রী, তিন সন্তান নিয়ে দিন আনা-দিন খাওয়া জীবন তার।
দু’মাস আগে ছোট ছেলে আমির হামজার (১৩ মাস) নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তাকে ভর্তি করেন খুলনা শিশু হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হার্টের সমস্যা চিহ্নিত হওয়ায় খুলনার ফর্টিস এস্কর্টস হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা করে আমিরের হার্টের ছিদ্র ধরা পড়ে। যশোরেও পরীক্ষা করে একই রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
সেলিম মোল্যা জানান, বিভিন্ন এনজিও’র কাছ থেকে ঋণ তুলে আমিরের চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত প্রায় দু’লাখ টাকা খরচ করেছেন। এখন আর চিকিৎসা করানোর মতো কোনো টাকা নেই তার। ভিটে মাটি ছাড়া তার আর কিছুই নেই।
আমির হামজার মা রোজিনা বেগম অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, নিজেদের যতটুকু ক্ষমতা ছিল তা দিয়ে ছেলের চিকিৎসা করেছি। এখন আর পারছি না। তিনি সন্তানের চিকিৎসার জন্য সবার কাছে আঁচল পেতেছেন।
বসুন্দিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম খান জানান, হতদরিদ্র সেলিম মোল্যা তার শিশু সন্তানটির জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। যে সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়ে কিছুই হবে না তার। সবাইকে আমির হামজার পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন তিনি।
আমির হামজাকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : রোজিনা বেগম, সঞ্চয়ী হিসাব নং-২৩০১০০১০০৬২৮১, সোনালী ব্যাংক, আলফা মিল গেট শাখা, যশোর।
মিলন রহমান/এমএএস/আরআইপি