পদ্মায় বিলীন প্রতিরোধক বাঁধ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গী ও ফাজেলখাঁর ডাঙ্গী গ্রামে পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত দুই দিনের তীব্র ভাঙনে প্রায় ৩০ একর ফসলি জমি, গাছপালাসহ ৫০ মিটার পদ্মা প্রতিরোধক বাঁধ বিলীন হয়ে গেছে।
পাশাপাশি উপজেলার বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের জামে মসজিদ ও ফাজেলখাঁর ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। একইসঙ্গে পদ্মা নদীর তীরবর্তী বসতঘরগুলো সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
ভাঙনকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের বেড়িবাঁধ সড়ক সংলগ্ন পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকা ও ফাজেলখাঁর ডাঙ্গী গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের পেছনের পদ্মা নদী পয়েন্টে তীব্র ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পদ্মা নদীর উক্ত দুই পয়েন্টে গত এক সপ্তাহ ধরে ভাঙন প্রতিরোধে জিওব্যাগ ফেলছে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।
শনিবার সকালে নির্মাণাধীন পদ্মা প্রতিরোধক বাঁধ প্রকল্পের প্রায় তিন হাজার জিওব্যাগ সহ ৫০ মিটার এলাকা ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এরপরও ভাঙন প্রতিরোধক প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
ফরিদপুর পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার জন্য উপজেলা বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের বেড়িবাঁধ সড়ক সংলগ্ন পদ্মা নদীর তীর এলাকার ডেনজার পয়েন্টে ১৫০ মিটার ও ফাজেলখাঁর ডাঙ্গী গ্রামের স্কুলের পেছনের পদ্মা পাড়ে ১০০ মিটার এলাকায় জরুরি কাজ চলছে।
তিনি বলেন, চলতি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১১ হাজার জিওব্যাগ পদ্মা তীরে ডাম্পিং করা হবে। শনিবার সকালে স্রোত ও তীব্র ভাঙনে উপজেলার বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের বেড়িবাঁধ সড়ক সংলগ্ন পদ্মা তীরে ডাম্পিং করা প্রায় ৩ হাজার জিওব্যাগসহ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এরপরও এই এলাকায় পদ্মা রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
এএম/জেআইএম