সিসি ক্যামেরার আওতায় কক্সবাজার শহরের ৪০টি স্থান
নিরাপদ পর্যটন নিশ্চিত করতে কক্সবাজার শহরের ৪০টি পয়েন্টে ৫২টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সার্বক্ষণিক ফুটেজ মনিটরিংয়ের লক্ষ্যে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নির্মিত হয়েছে সিসি ক্যামেরার কন্ট্রোল রুম।
এটি পর্যবেক্ষণের নিয়োগ দেয়া হয়েছে লোকবলও। এখন অপেক্ষা শুধু উদ্বোধনের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামালের হাত দিয়েই শুক্রবার আনুষ্ঠনিকভাবে সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে সমুদ্র নগরী কক্সবাজার।
কক্সবাজার পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরাজুল হক টুটুল বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত নগরীর শহর কক্সবাজার। দেশের পর্যটন রাজধানী হিসেবে প্রতিবছর এখানে বেড়াতে আসেন লাখ লাখ পর্যটক। সম্প্রতি রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে কক্সবাজারের গুরুত্ব বিশ্বব্যাপী আরও বেড়েছে। ফলে পর্যটন শহরে অবস্থান করছে বিভিন্ন এনজিওতে কর্মরত কয়েকশ বিদেশি নাগরিক। আর লাখো পর্যটক আগমনকে লক্ষ্য করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করে ছিনতাইকারীসহ নানা অপরাধী।
তিনি আরও বলেন, এসব বিষয় মাথায় রেখেই নিরাপদ পর্যটনের লক্ষ্যে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নেয় প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন, মনিটরিং ভবণ নির্মাণ, ক্যাবল সংযোগ ও লোকবল নিয়োগ সব কিছু সম্পন্ন হওয়ার পর পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়েও দেখা হয়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক যাত্রার অপেক্ষা। আশা করছি শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাত ধরেই নতুন দিগন্তে পা রাখবে পর্যটন শহর।
আফরাজুল হক টুটুল বলেন, অপরাধীরা এমনিতেই মানসিকভাবে দুর্বল প্রকৃতির হয়। সমাজ ও আইনকে ফাঁকি দিয়েই তারা সচরাচর অপরাধ করে। সিসি ক্যামেরার কারণে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ অপরাধী অপরাধের অন্ধকার পথ ছেড়ে দেবে বলে আমরা আশা করছি।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, কক্সবাজার পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অলিগলিসহ সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউপির লিংকরোড় পর্যন্ত দেড় শতাধিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে আপতত কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ৪০টি পয়েন্টে ৫২ টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
সিসি ক্যামেরার আওতায় আসা স্থানগুলো হলো- বাসটার্মিনাল পুলিশ বক্স ও সিএনজি পাম্প, কক্সবাজার কারাগার, স্টেডিয়ামের সামনে ও মোহাজের পাড়ার মোড়, সদর হাসপাতালের দক্ষিণ ও পূর্ব পাশের মোড়, জেলা শিক্ষা অফিসের সামনে ( সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়), গোলদিঘীর পাড়ের দক্ষিণ মোড়, অগগমেধা ক্যাং (বৌদ্ধ মন্দির ) সড়ক, বার্মিজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের উত্তর মোড়, বড় বাজার সামনে মোড় ( বাজারঘাটা) ,ভোলাবাবুর পেট্রোল পাম্প, লালদিঘীর পূর্ব পাড় মসজিদের সামনে, পৌরসভার সামনে, গুমগাছ তলা (শ্যামলী কাউন্টারের পাশে) , বিমানবন্দর গেইটের সামনে, ঝাউতলা হোটেল রেনেসার সামনের যাত্রী ছাউনিতে, হলিডের মোড়ের যাত্রী ছাউনীর সামনে ও পিটিআই স্কুলের সামনের মোড়ে (পিডিবির সামনে) সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়াও আরআরআরসি অফিসের সামনে (বাণিজ্য মেলার মাঠ), লাবণীর মোড়ের যাত্রী ছাউনী, কল্লোল মোড়, হান্ডি রেস্টুরেন্টের মোড়, সী ইন পয়েন্ট ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্স, সুগন্ধার মোড় ( ড্রাগন মার্কেটের সামনে), কলাতলীর পেছনের মোড় (সী ক্রাউন এর সামনে), কলাতলীর মোড়, হোটেল সী প্যালেসের উত্তর ও দক্ষিণ পাশ, সুগন্ধা পয়েন্ট ট্রাফিক পুলিশ বক্স, লং বীচের পাশে ( মোহাম্মদীয়া হোটেল সামনের পশ্চিম পাশ), নিরিবিলি অর্কিড এর এটিএম বুথের পাশে, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে (কটেজ জোনের পাশে) জাম্বুর মোড়, গোলচত্বর মোড়ের দক্ষিণ পাশে ( ইউএনএইচসিআরের পেছনের রাস্তা), পাসপোর্ট অফিসের সামনে, সার্কিট হাউস গেইট, পুলিশ সুপার বাসভবনের সামনের মোড় ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/জেআইএম