সিলেটে এগিয়ে আরিফুল
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী এগিয়ে রয়েছেন। ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রের ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ৯০ হাজার ৪৯৬ ভোট। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন কামরান পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন কামরানের চেয়ে ৪৬২৬ ভোটে এগিয়ে আছেন। তবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। স্থগিত রয়েছে দুটি কেন্দ্রের ফল। এ দুটি কেন্দ্রের মোট ভোট সংখ্যা ৪৭৮৭।
সোমবার রাত পৌনে ১২টায় বেসরকারিভাবে এ ফল ঘোষণা করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আলীমুজ্জামান।
এর আগে সোমবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ চলাকালে নগরীর ১, ৫, ৭, ৮, ৯, ১৩, ১৭, ১৮, ২০, ২১, ২৪, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০টি কেন্দ্রে ভোটারদের মারধরসহ নানান অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গাজী বোরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬২ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৬ প্রার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে মেয়র প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী (ধানের শীষ), সিপিবি-বাসদের মনোনীত প্রার্থী আবু জাফর (মই), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (হাতপাখা), নাগরিক ফোরামের প্রার্থী সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের (টেবিল ঘড়ি) ও সচেতন নাগরিক সমাজের প্রার্থী মো. এহছানুল হক তাহের (হরিণ)।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মোট ভোটার তিন লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন। এর মধ্যে এক লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন নারী। সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের ১৩৪টি ভোট কেন্দ্রের ৯২৬টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ছামির মাহমুদ/বিএ