স্যরি আপু রং নম্বর, অতঃপর প্রেমিকার সর্বনাশ
হ্যালো, এটা কোথায়?। স্যরি আপু, রং নম্বর বলে ফোন কেটে দেয় ছেলেটি। শুরুটা এভাবে। এরপর আবার ফোন, দুইজনের পরিচয়। এভাবে গড়ে ওঠে সম্পর্ক। মোবাইলে দীর্ঘদিন কথা বলার একপর্যায়ে দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে গণধর্ষণের শিকার হলেন প্রেমিকা।
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মঙ্গলপুর বাজারে গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে দুই দফায় গণধর্ষণের শিকার হন প্রেমিকা।
এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেফতারকৃত হলো- বিরল উপজেলার মোহনপুর গ্রামের মিরাজুল ইসলাম মিজান (৩০) ও মফিজুল হক (৩২)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার আরজি অনন্তপুর গ্রামে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাড়ি। তিনি নোবেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৫ম সেমিস্টারের ছাত্রী। তার সঙ্গে বিরল থানার মঙ্গলপুর ইউনিয়নের পিনাক নামের এক ছেলের মোবাইলে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে পিনাকের সঙ্গে তার প্রেম হয়। ওই ছেলের সঙ্গে দেখা করার জন্য শুক্রবার পাঁচবিবি থেকে বিরল উপজেলার মঙ্গপুর বাজারে আসেন ছাত্রী।
মঙ্গলপুর বাজারের দোকানদার মজিবর রহমানের কাছে পিনাকের বাড়ি কোথায় জানতে চান তিনি। মজিবর রহমান তাকে কৌশলে পিনাকের সন্ধান দেয়ার কথা বলে আটকে রাখে।
রাতে মজিবর রহমার তার দোকানে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটিকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়ে এক পুকুরপাড়ের গভীর নলকূপের ঘরে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। ওই রাতেই তাদের হাত থেকে পালিয়ে আসার সময় ধুকুরঝাড়ী বাজার এলাকায় ছাত্রীকে আটক করে পুলিশ। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের রোমহর্ষক বর্ণনা জানতে পারে পুলিশ। ঘটনা শুনে নির্যাতিত ছাত্রীকে উদ্ধার করে বিরল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
শনিবার রাতে ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন ওই ছাত্রী। পরে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি মিরাজুল ইসলাম মিজান ও মফিজুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। রোববার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিরল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম গোলাম রসুল জানান, দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নির্যাতিত ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এমদাদুল হক মিলন/এএম/আরআইপি