ফের এজেন্ট ও নেতাকর্মী গ্রেফতারের অভিযোগ বুলবুলের
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ফের এজেন্ট এবং নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের অভিযোগ করেছেন। রোববার দুপুর ১২টার পর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতরে লিখিত এ অভিযোগ দেন বুলবুল।
ভোট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভোটার, পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং গ্রেফতার বন্ধের আবেদনও জানান তিনি। এর আগে নির্বাচন দফতরে ২১টি লিখিত অভিযোগ দেন ধানের শীষ প্রতীকের এই প্রার্থী।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, ধানের শীষ প্রতীকের প্রধান নির্বাচন এজেন্ট এবং জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২৭ ও ২৮ জুলাই ধানের শীষ প্রতীকের পোলিং এজেন্টসহ প্রায় ৩০-৩২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পোলিং এজেন্ট না পেয়ে তাদের বাবা ও ভাইদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রতিনিয়ত সাদা পোশাকে পুলিশ নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে এলাকায় না থাকার হুমকি দিচ্ছে। রাজশাহীতেও না থাকার হুমকি দিচ্ছে। ভোট কেন্দ্রে যেতেও নিষেধ করছে। ধানের শীষের প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে নেতাকর্মীরা অবস্থান করলেই গ্রেফতারের হুমকি দিচ্ছে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, আমরা নির্বাচন কমিশনে প্রিসাইডিং অফিসারের তালিকা চেয়ে লিখিত ও মৌখিতভাবে বারবার অনুরোধ করে পাইনি। প্রয়োজনে এনিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন (নির্বাচনী আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর ধারা ৩, ৭ (গ) এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক আদেশ অনুসারে বিনা ওয়ারেন্টে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। তারপরও এ আদেশ মানছে না পুলিশ।
নির্বাচন দফতরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বুলবুল। তিনি বলেন, আমরা সকল নির্যাতন-জুলুম সহ্য করে এখন পর্যন্ত নির্বাচনে আছি। কিন্তু সব কিছুরই সীমা থাকা উচিত। প্রশাসন-পুলিশ যেভাবে আওয়ামী লীগের মতো কাজ করছে, তাতে নির্বাচন পরিস্থিতি সুষ্ঠু নয়। প্রয়োজনে ভোটের দিন মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে মাঠে নামবো আমরা।
এ সময় মিজানুর রহমান মিনু বলেন, রাজশাহী শান্তির শহর। আমরা আশা করেছিলান নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সহাবস্থান নিশ্চিত করবে। কিন্তু শান্তির এ শহর সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করার চেষ্টা চলাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি দলের ক্যাডার বাহিনী পুলিশের উচ্চাভিলাসী সদস্যদের প্রশ্রয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে। অনিবার্চিত সরকার নির্বাচিত মেয়র বুলবুলকে পদে পদে হেনস্থা করছে। রাজশাহীবাসী ব্যালটের মাধ্যমে এর জবাব দেবে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এফএ/পিআর