ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

এক বর্ষাতেই ধুয়ে গেলো ১৬ কোটি টাকা!

প্রকাশিত: ০৭:০৬ এএম, ০৭ আগস্ট ২০১৫

এক বর্ষাতেই ধুয়ে গেছে এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ১৬ কোটি টাকার কাজ। পুনরায় নির্মাণের দুই বছর পার না হতেই সেই আগের অবস্থায় ফিরে গেছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি। ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ কাজ ও ওভারলোডেড যানবাহনের কারণে সড়কটির এ অবস্থা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি করা হয় তা এ মহাসড়ক দিয়েই পৌঁছে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। আবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও ভারতে পণ্য রফতানির জন্য যশোর-বেনাপোল মহাসড়কটি ব্যবহার হয়। এর বাইরে এ অঞ্চলের বসবাসকারীদেরও প্রধান সড়ক এটি।

সব মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ২০০ গাড়ি চলাচল করে এ মহাসড়কে। এসব গাড়ি নির্বিঘ্নে চলাচল করতে সরকার প্রায়ই রাস্তাটি সংস্কার করে। সর্বশেষ বছর দুয়েক আগে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মহাসড়কটির পুনরায় নির্মাণ কাজ করা হয়। কিন্তু এক বর্ষাতেই সব শেষ! ইতোমধ্যে মহাসড়কটির বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। আর এ গর্তের মধ্য দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজারো বাস-ট্রাক চলাচল করছে।

যশোর সড়ক ও জনপদ সূত্রে জানা যায়, দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পণ্য লেনদেন হয়। এসব পণ্য যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক দিয়ে প্রবেশ করে। আর এ মহাসড়কটির দূরত্ব ৩৮ কিলোমিটার। যার ২৩ কিলোমিটার ২০১৩ সালের জুন মাসে আবার নির্মাণ করা হয়। যশোরের পদ্মা কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ করে।

সরেজমিন দেখা যায়, যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে বছর দুয়েক আগে নির্মাণ করা অংশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। আর ২৩ কিলোমিটারের অধিকাংশ অংশের পাথর উঠে গেছে।

ওই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করেন লাউজানী গ্রামের বাসিন্দা আবু সিদ্দিক ও নিমতলা গ্রামের মুস্তাফিজুর রহমান। তারা জাগো নিউজকে জানান, সর্বশেষ বর্ষার মধ্যে মহাসড়কটিতে বড় বড় গর্ত তৈরি হলেও নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কয়েক মাস যেতে না যেতেই পাথর উঠা শুরু করে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত বর্ষা মৌসুমের পর পরই রাস্তাটি নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সে হিসেবে এবারই শুধু রাস্তাটি বর্ষার কবলে পড়ে। আর এক বর্ষাতেই রাস্তার বেহাল দশা। পর্যাপ্ত বিটুমিন ব্যবহার না করায় কাজ শেষ হতে না হতেই পাথর উঠা শুরু করে বলে তারা অভিযোগ করেন।

যশোর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী ইকবাল জাগো নিউজকে জানান, যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে যে পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে সে হিসেবে এটি পুনরায় নির্মাণের জন্য বড় বরাদ্দ দরকার। তারপরও যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল তাতে যথেষ্ট ভাল মান বজায় রেখে কাজ করা সম্ভব। তারা আশা করেছিলেন তিন বছরের মধ্যে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু সেটা হয়নি। দুই বছরের মধ্যেই মহাসড়কটিতে বড় বড় গর্ত দেখা দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, শুধু নির্মাণ ত্রুটি নয়, মহাসড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত ওভারলোডের ট্রাক যাতায়াত করে। এটাও দ্রুত রাস্তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

মিলন রহমান/এমজেড/এমএস