ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ফটিকছড়িতে জলাবদ্ধতায় হাজারো কৃষকের স্বপ্নভঙ্গ

প্রকাশিত: ০৫:৫২ এএম, ০৭ আগস্ট ২০১৫

ফটিকছড়িতে দশদিনের টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় দুই হাজার কৃষকের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়েছে। বৃষ্টির পানি আর পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে ১৮০০ হেক্টর ফসলি জমি। বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১২৬ হেক্টর জমির আমন ধান ও সবজি। এখনো পানির নীচে ডুবে আছে আমনের বীজতলা।
 
ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে গত ২২ জুলাই থেকে টানা ভারি বর্ষণ শুরু হয়। ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্থায়ী বর্ষণে ফটিকছড়ির নিম্মাঞ্চলে সৃষ্টি হয় ব্যাপক জলাবদ্ধতা। বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় হালদা,গজারিয়া, ধুরুং ও শর্তাখালের পানি।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, দশদিনের টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ডুবে গেছে প্রায় ১৬টি ইউনিয়নের আমন ধানের বীজ তলাসহ নানা প্রকারের মৌসুমী সবজি ক্ষেত। এতে করে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এসব এলাকার কৃষকরা।

পানির নীচে তলিয়ে গেছে লাখ টাকার ফসল। বেশিদিন পানি জমে থাকায় পঁচন ধরেছে অনেক সবজি চারা আর আমন ধানের রোপা ও বীজতলায়।
 
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমে ১২৮০ হেক্টর আমন বীজতলা এবং ৬০০ হেক্টর রোপা আমন প্রস্তুত করে প্রায় দুই হাজার কৃষক। এ ছাড়া ৭ হেক্টর জমিতে করা হয় সবজি চাষ। সুত্র জানায় দশদিনের টানা বর্ষণে সম্পূর্ণ জমির ফসলই পানিতে তলিয়ে গেছে।

হারুয়ালছড়ির কৃষক বাদশা ও আবুল কাশেম বলেন, সময়মত কীটনাশক ক্ষেতে প্রয়োগ করায় এবার ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু তাদের এ আশা দুরাশায় পরিণত হলো ।



উপজেলার বাগানবাজার, নারায়নহাট, ভূজপুর, হারুয়ালছড়ি, ফটিকছড়ি পৌরসভা সদর, সুন্দরপুর, সুয়াবিল, দৌলতপুর ,লেলাং, নানুপুর, রোসাংগিরি, বক্তপুর, জাফতনগর, ধর্মপুর ও সমিতির হাট ইউনিয়নে ৩০০ হেক্টর আমন বীজতলা এবং ১৫০ হেক্টর রোপা আমন জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত হয়।

এর মধ্যে ২৮০ হেক্টর বীজতলা  এবং ১৩৫ হেক্টর রোপা আমন আংশিক ক্ষতি হয়। এছাড়া সম্পূর্ণ ক্ষতি হয় ২০ হেক্টর বীজতলা এবং ১৫ হেক্টর রোপা আমন।

উপজেলার নানুপুর ইউনিয়নের কৃষক ফজল বলেন, পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয়ে ২ কানি জমিতে কচু, কাকরোল, ঢেঁরশ, চাষ করেছি। কিন্তু জলাবদ্ধতায় সব শেষ হয়ে গেছে।  
 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লিটন দেবনাথ জানান,দশদিনের বর্ষণে উপজেলার ১৫২০ জন কৃষকের আমন বীজতলা এবং ৪০০ জন কৃষকের রোপা আমন ধান ক্ষতি হয়েছে।

তবে এখনো পর্যন্ত তাদেরকে সরকারিভাবে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা হয়নি। ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করে একটি চুড়ান্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে ।

এসকেডি/এমএস