যৌতুক না পেয়ে শাশুড়িকে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরে যৌতুক না পেয়ে শাশুড়িকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে জামাই মনির হোসেনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের হাজীবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে অভিযুক্ত মনিরসহ তার স্বজনরা।
নিহত সামসুন্নাহার (৫০) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাদপুর গ্রামের মৃত আতাউর রহমান সরকারের স্ত্রী। অভিযুক্ত জামাই মনির হোসেন (৩৫) গাজীপুর শহরের হাজীবাগ এলাকার মো. জমির উদ্দিনের ছেলে। মনির পেশায় প্রাইভেটকার চালক।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, মনির হোসেনের সঙ্গে তিন বছর আগে সামসুন্নাহারের মেয়ে নুরুন্নাহার আক্তার সুইটির বিয়ে হয়। তাদের মুনিহা নামে ১৩ মাসের একটি মেয়ে আছে। বিয়ের সময় সুইটির বাবা মনিরকে নগদ এক লাখ টাকা, আসবাবপত্র ও স্বর্ণালংকার দেন। বিয়ের পর থেকে মনির ও তার পরিবারের সদস্যরা আরও যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু করে। গত বুধবার ওয়ারিশের জমি বিক্রি করে টাকা এনে দেয়ার জন্য স্ত্রী সুইটিকে বেদম মারধর করে মনির। পরে শিশু মুনিহাকে রেখে স্ত্রী নুরুন্নাহার সুইটিকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় মনির।
বৃহস্পতিবার মনির শাশুড়িকে ফোন করে সুইটিকে নিয়ে আসতে বলে। আসার পর রাত ১০টার দিকে মনির ও তার স্বজনরা মিলে যৌতুকের টাকা না দেয়ায় শাশুড়ি সামসুন্নাহারের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে সবাই মিলে সামসুন্নাহারকে বেধড়ক পিটুনি দেয় এবং গলা টিপে শ্বাসরোধ করে। এতে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন। রাত ১১টার দিকে সামসুন্নাহারকে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জয়দেবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, রাতেই মনিরসহ অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আমিনুল ইসলাম/আরএআর/এমএস