হচ্ছে হবে করে কিছুই হয়না
ক্লাস রুম, কমন রুম, শিক্ষক সঙ্কট, লাইব্রেরি ভবন, ছাত্রী হোস্টেলসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত মাগুরার একমাত্র সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ। দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষ শোনাচ্ছেন শুধুমাত্র আশার বাণী। হচ্ছে হবে বলে কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর।
১৯৪০ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হবার পর, সময়ের দাবিতে ১৯৫৭ সালে সম্মান পর্যায়ে উন্নীত করা হলেও এখন পর্যন্ত ডিগ্রি এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের চারজন শিক্ষক দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে দর্শন বিভাগের প্রভাষক খান শফী উল্লাহ জাগো নিউজকে জানান, কম্পিউটারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে অভিজ্ঞ শিক্ষক না থাকায় ক্লাস নিতে হচ্ছে দর্শন বিভাগের শিক্ষকদের। অন্যদিকে, অনেক ছাত্র-ছাত্রী উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষে কম্পিউটার বিভাগে ভর্তি হলেও পরবর্তীতে ক্লাস ভালো না হওয়ায় কম্পিউটার বিভাগ পরিবর্তন করে চলে যাচ্ছেন অন্যান্য বিভাগে।
তিনি আরো জানান, চারটি করে ক্লাস রুম থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র একটি। যার কারণে সঠিকভাবে পাঠদান সম্ভব নয়। এছাড়া কমন রুম সমস্যাতো রয়েই গেছে।
কলেজ ঘুরে দেখা গেছে, সীমানা প্রাচীর না থাকায় বহিরাগতরা কলেজ প্রাঙ্গনে এসে তাস খেলা থেকে শুরু করে মদ-গাঁজার আসর বসান। ছাত্রীরা ইভটিজিংয়ের শিকার হন। অন্যদিকে, ছাত্ররা মাঠে খেলাধুলা করতে গেলে প্রায় গ্যানজাম-ফ্যাসাদের সম্মুখীন হন।
ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সেলিনা পারভিন জাগো নিউজকে জানান, যশোর শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে এ কলেজের মেয়েরা বরাবরই ভালো ফলাফল করে আসলেও, গালর্স হোস্টেল না থাকায় সব ক্লাস করতে পারছে না অধিকাংশ ছাত্রী। কেউ কেউ সপ্তাহে ২/১টি ক্লাস করেন। কেউবা আবার গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস করতেই শুধু কলেজে আসেন।
অধ্যক্ষ মো. শাহাজউদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, কলেজটি স্নাতক পর্যায়ে উন্নীত হলেও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বরাদ্দ পাওয়ায় ও স্নাতক পর্যায়ের সকল যন্ত্রপাতির দাম বেশি হওয়ায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে না। এছাড়া কলেজ কর্তৃপক্ষ খালিপদ পূরণসহ নানা সমস্যার কথা প্রতিমাসেই মন্ত্রণালয়কে জানায়। কিন্তু এখানে অজুহাতের শেষ নেই।
মো. আরাফাত হোসেন/এমজেড/পিআর