ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সব ধরনের সহযোগিতা করবে মালয়েশিয়া

জেলা প্রতিনিধি | কক্সবাজার | প্রকাশিত: ০৮:৫৯ পিএম, ১২ জুলাই ২০১৮

রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের ত্যাগ বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য অনুকরণীয় মন্তব্য করে মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সাবু বলেছেন, বাংলাদেশের মত একটি ছোট দেশে বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন তা পৃথিবীতে বিরল।

তিনি বলেন, আশ্রিত রোহিঙ্গাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসা সেবাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা বাংলাদেশেরর জন্য চ্যালেঞ্জিং। কোনো ওজর আপত্তিহীনভাবে বাংলাদেশ তা করে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়া সরকার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ডি ব্লকের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্থাপনা ঘুরে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কাজ করছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মর্যাদা সহকারে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে মালয়েশিয়া সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা এখানে যতদিন থাকবে ততদিন মালয়েশিয়া সরকার সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে।

টিঅ্যন্ডটি এলাকায় মালয়েশিয়া সরকার পরিচালিত হাসপাতালের কথা উল্লেখ করে মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে চাহিদামত স্বাস্থ্য সেবা পায় সেজন্য প্রয়োজনে এ হাসপাতালকে আরও সম্প্রসারণ করা হবে। হাসপাতাল পরিদর্শনকালে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্টদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের আন্তরিক হওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।

মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ক্যাম্পে অবস্থান করে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ক্যাম্প পরিদর্শনকালে তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সুখ-দুঃখের কথা জানতে চান।

প্রায় ১৮ সদস্যের মালয়েশিয়ান প্রতিনিধি দল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্য কুতুপালং ত্যাগ করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সরওয়ার কামাল, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জআমান চৌধুরী, ওসি আবুল খায়েরসহ বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/জেআইএম

আরও পড়ুন