প্রধানমন্ত্রী রূপপুর যাচ্ছেন ১৪ জুলাই
রূপপুর প্রকল্প ঘিরে চলছে মহাকর্মযজ্ঞ। আগামী ১৪ জুলাই সেখানে গিয়ে দ্বিতীয় ইউনিটের ফার্স্ট কংক্রিট পোরিং (এফসিপি) কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তিনি ঈশ্বরদী বাইপাস থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ কাজেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে পাকশী বিভাগীয় রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানান, গত বছরের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ফার্স্ট কংক্রিট পোরিং (এফসিপি) ঢালাই কাজের উদ্বোধন করেন। ইতোমধ্যে প্রথম ইউনিটের কংক্রিট ঢালাই কাজ শেষ হয়েছে। সম্প্রতি দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজের লাইসেন্স মিলেছে।
১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় ইউনিটের ফার্স্ট কংক্রিট পোরিংয়ের কাজের উদ্বোধন করবেন। এ ব্যাপারে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী ধাপে রিঅ্যাকট্যার স্থাপনে ভারি যন্ত্রাংশ, উপকরণ, কাঁচামাল সহজে পরিবহনের জন্য ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের টেক পয়েন্ট থেকে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প পর্যন্ত রেলপথ ব্যবহার করা হবে।
তিনি আরও জানান, রূপপুর প্রকল্পের এই রেললাইনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম ও খুলনা বন্দর থেকে খুব সহজেই রাশিয়া থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা মালামাল পরিবহন করা সম্ভব হবে।
রেলওয়ে পাকশী বিভাগের রেল ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মো. নাজমুল ইসলাম জানান, ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের চুক্তি সম্পাদন হয়েছে। ভারতের জিপিটি এবং বাংলাদেশের এসইএল ও সিসিসিএল অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে (জয়েন্ট ভেঞ্চার) ২৯৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকায় ঈশ্বরদী বাইপাস টেক অফ পয়েন্ট থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ করবে। এর মধ্যে ২২ দশমিক ০২ কিলোমিটার হবে মূল লাইন, আর ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার হবে লুপ লাইন।
এছাড়া ১৩টি লেভেল ক্রসিং গেট, একটি ‘বি’শ্রেণির স্টেশন ভবন, একটি প্লাটফর্ম এবং সাতটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১৮ মাসের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করবে।
আলাউদ্দিন আহমেদ/এফএ/আরআইপি