বিদ্যালয়ে মাঠে জলাবদ্ধতায় পাঠদান ব্যাহত
নড়াইল শহরের প্রাণকেন্দ্রে গড়ে ওঠা অর্ধশত বছর পুরোনো শিব শংকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথ এবং স্কুল মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে পাঠদান ভীষণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বছরের প্রায় ৮ মাস স্কুলে পানি জমে থাকায় একদিকে এ মাঠে ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলা করতে পারে না। অন্যদিকে পানি পচে সাপ ও জোকের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। স্কুল পরিচালনা পর্ষদ এবং স্কুলের শিক্ষকরা এ সব সমস্যা সমাধান করতে না পারায় স্কুলের পাঠদান ভীষণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও স্কুলে আসা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে।
জানা যায়, রোজা ও ঈদের এক মাস ছুটির পর থেকে বিদ্যালয়ে নিয়োমিত পাঠদান হচ্ছে না।
স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সৌরভ হাবিব, ৪র্থ শ্রেণির রায়হান কাওসার ও ১ম শ্রেণির ছাত্রী হাসনা হেনা জানান, স্কুলে আসতে গেলে নোংরা পানির ভেতর দিয়ে আসতে হয়। পানিতে জোক, সাপ, ব্যাঙয়ের বাচ্চা থাকে। এতে আমাদের ভয় লাগে। সেজন্য স্কুলে আসতে মন চায় না।
স্কুলের অভিভাবক সায়েদ আলী শান্ত বলেন, প্রায় সারা বছর স্কুলের মাঠে পানি জমে থাকে। স্কুলের পাশ দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও কয়েক প্রভাবশালী ব্যক্তির কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে পানি পচে নষ্ট হচ্ছে। মশা, মাছি, জোক ও সাপের উপদ্রব বাড়ছে। ফলে পানি বাহিতসহ বিভিন্ন রোগ ব্যধির সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় বাচ্চাদেরকে স্কুলে পাঠান অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, এ সমস্যার সমাধানের জন্য স্থানীয় অভিভাবক এবং স্কুলের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক এবং নড়াইল পৌর মেয়রকে বিষয়টি জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঢাকায় ট্রেনিংয়ে থাকায় এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে সহকারী শিক্ষিকা রেশমী সুলতানা বলেন, আমরা এ সব সমস্যার কথা স্কুল কমিটির সভাপতি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে একটি দরখাস্ত দিয়েছে। স্কুলে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুলের রেজাল্টও যথেষ্ট ভালো। ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত পুরোনো এ স্কুলের জলাবদ্ধতার জন্য পাঠদানসহ শিক্ষাক্রমিক বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহ আলম জানান, এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি দরখাস্ত দিয়েছে। বিষয়টি নড়াইল পৌর মেয়রও অবগত রয়েছেন। শুনেছি স্থানীয় কয়েক প্রভাবশালী ব্যক্তির কারণে জলাবদ্ধতার বিষয়টির সমাধান হচ্ছে না। আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দুই একদিনের মধ্যে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করব।
হাফিজুল নিলু/আরএ/আরআইপি