তিস্তায় শোঁ শোঁ শব্দ, আতঙ্কে উপকূলীয় বাসিন্দারা
উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। নদীর তীরবর্তী চর ও গ্রামগুলোর বসতঘরে ঢুকছে ঢলের পানির। সেই সঙ্গে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত নীলফামারীর ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজের বাইশপুকুর পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
এই পয়েন্টে বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার। ফলে নদীর পানি ৫২ দশমিক ৫৬ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তিস্তার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানির শোঁ শোঁ শব্দ আর গর্জনে আতঙ্কে রয়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অধিকাংশ মানুষ এখন নিঃস্ব। এরপর আবার বন্যার আতঙ্কে তারা।
উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তার পানি হু-হু করে বৃদ্ধির পাওয়ায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপকূলীয় বাসিন্দারা জানান, উজানের ঢলে বন্যায় তিস্তা চরের টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, খগাখড়িবাড়ি, পূর্ব ছাতনাই, নাউতারা, ডাউয়াবাড়ি, গোলমুন্ডা ও শৌলমারীসহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নে বসবাসরত পরিবারগুলোক নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে।
পূর্ব ছাতনাই ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, তার ইউনিয়নের ঝাড়সিংশ্বের এলাকায় বসবাসরত ৫ শতাধিক পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন বলেন, চরখড়িবাড়ি এলাকার বাড়িগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। সেখানকার সহস্রাধিক পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারীর জেলা প্রশাসক খালেদ রহীম, জেলা ত্রাণ পুনর্বাসন কর্মকর্তা এটিএম আখতারুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, টেপাখড়িবাড়ি ইউপির চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম টেপাখড়িবাড়ি বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
জাহেদুল ইসলাম/এএম/জেআইএম