ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সব ব্যবস্থা করবে জাতিসংঘ : জাতিসংঘ মহাসচিব

জেলা প্রতিনিধি | কক্সবাজার | প্রকাশিত: ০৮:০৮ পিএম, ০২ জুলাই ২০১৮

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করে রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে সব ধরনের ব্যবস্থা করবে জাতিসংঘ। সেভাবেই কাজ করছি আমরা।

সোমবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার পর বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রিত জীবন বড়ই কষ্টের। যে পরিস্থিতির মুখে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ছেড়েছে সভ্যতার যুগে তা কল্পনা করা যায় না। বাংলাদেশ শ্রেষ্ঠ মানবিক আচরণে তাদের ঠাঁই দিয়েছে। কিন্তু চলমান বর্ষায় আশ্রিতদের নিরাপদ রাখাই এখন প্রধান লক্ষ্য হওয়া দরকার। প্রাণহানি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ২ লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন। প্রাণে বাঁচতে সহযোগিতা যখন দিয়েছি তখন বর্ষায় তাদের আশা ভাসিয়ে দেয়া উচিত হবে না।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। এ সময় তিনি কক্সবাজারে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের তুলনায় সহায়তাকে অপ্রতুল বলেই দাবি করেন।

তাই তিনি রোহিঙ্গা সহায়তায় আরও বেশি সহযোগিতা দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানান। পাশাপাশি ঘোষণা দেন একসঙ্গে এত লোককে আশ্রয় দিয়ে শ্রেষ্ঠ মানবিক আচরণ করা বাংলাদেশ সরকারকে আগের ৪৮০ মিলিয়ন ডলার ছাড়াও স্বল্প সুদে নতুন ৩ বিলিয়ন ডলার অনুদান দেয়া হবে।

coxbazar

নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার জীবনযাপন পরিদর্শনে সোমবার ক্যাম্পে আসেন জাতিসংঘের মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট। বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পে পৌঁছে তারা রাখাইনে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের কথা শুনেন এবং তাদের মনের আকাঙ্ক্ষার কথা জানতে চান।

রাখাইনে নির্যাতনের কথা তুলে ধরে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক শীর্ষ দুই সংস্থার প্রধানের কাছে বলেন, নাগরিকত্ব, স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও কর্মের নিশ্চয়তাসহ সব অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তারা মিয়ানমার ফিরতে চান না।

আন্তর্জাতিক দুই সংস্থার প্রধান প্রথমে উখিয়ার রোহিঙ্গা ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত টিভি রিলে কেন্দ্র এলাকায় পৌঁছান। এর আগে সকাল ১০টার দিকে সায়মন বিচ রিসোর্ট থেকে তাদের গাড়িবহর বের হয় এবং মেরিন ড্রাইভ হয়ে উখিয়ার পথে রওনা হন জাতিসংঘের মহাসচিব এবং বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে আসা টিম ইউএনএইচসিআর’র বালুখালী ট্রানজিট ক্যাম্প ও কুতুপালং মেইন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া চরম দুর্দশার কথা শুনেন।

সোমবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। তাদের সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল বিষয়ক নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া খানেমসহ জাতিসংঘের অধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ডজন খানেক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সায়ীদ আলমগীর/এএম/এমএস

আরও পড়ুন