সিলেট সিটি নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। রোববার সকাল থেকে শুরু হওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলবে সোমবার বিকেল পর্যন্ত।
যাচাইয়ের প্রথম দিনে সিসিকের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১ থেকে ১৮ নং ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১ থেকে ৬ নং ওয়ার্ডের যাচাই সম্পন্ন হয়। এ সময় ১০ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয় বলে জানিয়েছেন সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. আলীমুজ্জামান।
আগামীকাল সোমবার মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। নির্বাচন কর্মকর্তার তথ্য অনুসারে, আয়কর রিটার্নের তথ্যে সমস্যা থাকায় ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রাজিব কুমার দে, ঋণখেলাপি হওয়ায় ৫ নং ওয়ার্ডে কাজী নাজমুল আহমদ, আয়কর রিটার্নের তথ্যে সমস্যা থাকায় নিলুফা সুলতানা চৌধুরী, একই সমস্যা থাকায় ৭ নং ওয়ার্ডে মুহিবুর রহমান সাবু, তথ্য গোপন করায় ১১ নং ওয়ার্ডে আবদুর রকিব বাবলু, ঋণখেলাপি হওয়ায় ১৫ নং ওয়ার্ডে শেখ মফিজুর রহমান এবং আয়কর রিটার্নের তথ্যে সমস্যা থাকায় ১৬ নং ওয়ার্ডের রায়হান হোসেন কামালের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া ঋণখেলাপি হওয়ায় সংরক্ষিত ৩ নং ওয়ার্ডের শ্যামলী সরকার, আয়কর রিটার্নের তথ্যে সমস্যা থাকায় আলিমুন এবং একই সমস্যার কারণে ৬ নং ওয়ার্ডের রেহানা ইয়াসমিনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
মনোনয়ন যাচাই-বাছাই উপলক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ভিড় দেখা গেছে। যাচাইয়ে বৈধ প্রার্থীর সমর্থকদের উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।
সিসিক নির্বাচনে নয়জনকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে সহকারী বিভাগীয় কমিশনার দায়িত্ব পালন করবেন।
গত ২৮ জুন ছিল সিসিক নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। এদিন মেয়র পদে নয়জন, সংরক্ষিত আসনে নারী সদস্য হিসেবে ৬৩ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, যাচাই-বাছাই সোমবার পর্যন্ত চলবে। ৯ জুলাই প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ৩০ জুলাই সিসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এএম/এমএস