স্বামীকে পরকীয়া থেকে ফেরাতে না পেরে শরীরে আগুন
বরগুনায় স্বামীকে পরকীয়া থেকে ফেরাতে না পেরে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে নাসরিন নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত নাসরীন বরগুনার সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের সোনবুনিয়া গ্রামের মো. শাহ আলমের মেয়ে। এ ঘটনায় নাসরিনের বাবা শাহ আলম বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
শাহ আলম জানান, ৯ বছর আগে তার মেয়ে নাসরিনের সঙ্গে একই এলাকার ইউসুফ মৃধার ছেলে মহসিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের মধ্যে মাঝেমধ্যে বাকবিতণ্ডা হলেও পরে মিলমিশ হয়ে যায়। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে মহসিনের সঙ্গে স্থানীয় এক মেয়ের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হলে নাসরিনকে মারধর করত মহসিন। মহসিনের পরকীয়ার বিষয়ে তার স্বজনদের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি নাসরিন।
তিনি বলেন, গত ২৪ জুন মহসিনের পরকীয়ার জের ধরে আবারও নাসরিনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় নাসরিনকে মারধর করে মহসিন। পরে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে নাসরিন। আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় নাসরিন।
এ ঘটনায় নাসরিনের বাবা শাহ আলম বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে বরগুনা থানায় মামলা করেন। নাসরিন ও মহসিন দম্পতির দুটি ছেলে রয়েছে। বড় ছেলের বয়স ৫ বছর আর ছোট ছেলের বয়স তিন মাস।
এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বলেন, নাসরিনের আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা করেছেন তার বাবা। এ মামলায় তার স্বামী মহসিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মো. সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এএম/পিআর