যুবলীগ নেতা হত্যাকাণ্ডে ৪০ জন অভিযুক্ত
যশোর সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন হত্যা ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটনা মামলায় চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। সোমবার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের মোল্লা রামনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রেজাউল হাসান এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী পাগলা শাহিনসহ ৪০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের আব্দুল মান্নান সর্দারের ছেলে রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল হাসান, শুকুর আলী মোল্লার ছেলে শাহিন ওরফে পাগলা শাহিন, মৃত মকিম খানের ছেলে মহব্বত আলী, মৃত আসমত আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে বিসমিল্লা, হাকিম বক্সের ছেলে অ্যাডভোকেট টিএম ওমর ফারুকসহ মোট ৪০ জন।
জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি এলাকার সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন অপকর্মের বিরোধিতা করতেন। সে কারণে ওই এলাকার সন্ত্রাসীরা তার উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। ২০১৪ সালের ২৫ মে সন্ধ্যায় আলমগীর হোসেন রাজারহাট বাজারের রোস্তম আলীর চামড়ার আড়তে বসেছিলেন।
এদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাগলা শাহিন, মহব্বত, বিসমিল্লা, ফসিয়ারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আলমগীরকে ঘিরে ধরে প্রথমে গুলি ও পরে বোমা হামলা করে পালিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে যশোর এবং পরে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ জুন বিকেলে তিনি মারা যান।
হামলার পর আলমগীর হোসেনের বড়ভাই আলতাফ হোসেন বিশ্বাস কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে সেটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল খায়ের মোল্লা আসামি সুজন, মিলন, পাটালি সুমনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে তারা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
ওই আসামিদের জবানবন্দি ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৪০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। চার্জশিটে অভিযুক্ত পাগলা শাহিন, মহব্বত, বিসমিল্লা, ফসিয়ার, মহিদুল, আলম ও আলিমকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
মিলন রহমান/এমজেড/পিআর