স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর ভিডিও ছড়ানোর হুমকি, আটক ২
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে ধর্ষক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার গোপালপুর থানায় গণধর্ষণ ও পর্নগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে মজনু মিয়া (৩০) ও তার সহযোগী একই গ্রামের ফজলু মিয়ার স্ত্রী জোছনা বেগম (৪০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ায় পর বিধবা নানির কাছে থেকে উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়নের উত্তর পাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে ওই ছাত্রী লেখাপড়া করতো। গত ১৬ এপ্রিল সে উত্তর পাথালিয়া গ্রামের প্রতিবেশী ফজলু মিয়ার বাড়ির ফ্রিজে রাখা দুধ আনতে যায়। এ সময় ফজলু মিয়ার স্ত্রী জোছনা বেগমের যোগসাজশে একই গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে মজনু মিয়া এবং শামসুল হকের ছেলে সোহাগ (১৫) ওই স্কুলছাত্রীকে কৌশলে ঘরে আটক করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) নির্যাতনের শিকার মেয়েটির মা তিনজনকে আসামি করে গোপালপুর থানায় গণধর্ষণ ও পর্নগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মজনু মিয়া ও তার সহযোগী জোছন বেগমকে গ্রেফতার করে। অপর আসামি সোহাগ পলাতক রয়েছে।
মামলার বাদী ওই স্কুলছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, তাদের দারিদ্রতা ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ধর্ষকরা পুনরায় মেয়েটিকে তাদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য বাড়িতে এসে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এমতাবস্থায় তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মেয়েটিকে টাঙ্গাইল শহরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে লুকিয়ে রাখা হয়। গত ৯ জুন ধর্ষকরা মেয়েটির নানিবাড়ি গিয়ে নানির হাতে ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে একটি মোবাইলের মেমোরি কার্ড তুলে দেয়।
এ প্রসঙ্গে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, এ ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরেক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আরিফ উর রহমান টগর/আরএআর/পিআর