বিনা টিকিটে ট্রেনে উঠে ১২শ যাত্রী ধরা
বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের দায়ে চলমান অভিযানে ১২শ যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়াসহ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক আদায়কৃত এ অর্থের পরিমাণ ৪ লাখ ৪ হাজার ৩৯০ টাকা।
মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগের আওতায় গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের ওপর দিয়ে চলাচলকারী ৮টি আন্তঃনগর ট্রেনে এই অভিযান চালানো হয়।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যাবস্থাপক (ডিআরএম) অসীম কুমার তালুকদার জানান, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে চলাচলকারী ৮টি আন্তঃনগর ট্রেনে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করা যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়াসহ উক্ত পরিমাণ জরিমানা আদায় করা হয়।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মিহির কান্তি গুহ’র নেতৃত্বে সর্বমোট আটটি টিম বিভিন্ন রুটের ট্রেনে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যাবস্থাপক (ডিআরএম) অসীম কুমার তালুকদার, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আবদুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) আনোয়ার হোসেন, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) ময়েন উদ্দিন, বিভাগীয় সংকেত প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা আলম, বিভাগীয় বৈদ্যুতিক কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম, বিভাগীয় সিগন্যাল ও টেলিকম প্রকৌশলী রুবাইয়াৎ শরীফ প্রান্ত, সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মজিবর রহমান, ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক আব্দুল আলীম বিশ্বাস মিঠু, ইয়াসির আরাফাত, বরকতউল্লাহ আল-আমিন, গৌড় সিংহ, আকরাম হোসেন প্রমুখ।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান চালানো যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো হলো-রাজশাহী-খুলনাগামী ৭৬২নং আন্তঃনগর সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহীগামী ৭১৫নং আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটিগামী ৭২৭ নং রূপসা এক্সপ্রেস, খুলনা-ঢাকাগামী ৭৬৩নং চিত্রা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটিগামী ৭৩৩নং তিতুমীর এক্সপ্রেস, দিনাজপুর -ঢাকাগামী ৭৫৮নং দ্রুতযান এক্সপ্রেস, ঢাকা-রংপুরগামী ৭৭১নং রংপুর এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহীগামী ৭৫৩-৭৫৪নং সিল্কসিটি এক্সপ্রেস।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিআরএম) অসীম কুমার তালুকদার জানান, যাত্রী সেবার মান ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য পাকশী বিভাগের আওতায় বিভিন্ন রুটের ও গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ব্লক চেকিং করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় আনা হয় যাত্রীদের। মূলত রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বিনা টিকেটে যাত্রীর সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে এই কার্যক্রম।
আলাউদ্দিন আহমেদ/এফএ/পিআর