বুড়িমারী স্থলবন্দরে ৩ দিন ধরে অচলাবস্থা
বুড়িমারী স্থলবন্দরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও একগুয়েমির কারণে গত তিনদিন ধরে পণ্য আমদানি-রফতানি, খালাস ও আনা-নেয়া করতে পারছেন না বলে বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়িরা অভিযোগ করেছেন। সোমবার দুপুরে সরজমিনে বুড়িমারী স্থলবন্দর ঘুরে দেখা যায়, গত ৩ দিন ধরে ভারত, ভুটান থেকে আসা শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক বন্দর রোডে অবস্থান করছে।
১৯৮৮ সালে বন্দর চালুর পর থেকে আমদানিকৃত পণ্য ওয়ে ব্রিজ করার পর অ্যাকজামিন, শুল্ক প্রদান ,অ্যাসেসমেন্ট ও আউটপাসের পর বন্দরের বাইরে আনলোড করা হলেও হঠাৎ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বন্দরের বাউন্ডারির ভেতরে পণ্য আনলোড করানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। একাধিক পণ্য লোড আনলোড করার কারণে ব্যবসায়িদের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিএন্ডএফ এজেন্ট জাগো নিউজকে জানান, ‘কাস্টম্স কর্তৃপক্ষের হঠাৎ সিদ্ধান্তে গত ৩ দিন ধরে বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানী-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য আনলোড করে আবার ট্রাকে লোড করে বাহিরে আনায় একাধিকবার লোড আনলোডে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়। পণ্য ট্রান্সশীপমেন্ট এর কারনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের কারনে ব্যবসায়িরা আমদানী রপ্তানি বন্ধ রেখেছেন।
এদিকে বন্দরে এ অচলাবস্থায় বুড়িমারী সিএন্ডএফ এজেন্ট আহবাহক ও পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল সোমবার দুপুর ২টায় বন্দর পরিদর্শন শেষে সহকারি কমিশনার বিল্লাল হোসেনের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছেন।
বুড়িমারী স্থলবন্দন কাস্টম্স সুপার আব্দুর রহমান জাগো নিউজ কে জানান, ‘যেখানে অবকাঠামো নাই সেখানে পণ্য বাহিরে আনলোড করা যেতে পারে। বুড়িমারী স্থল বন্দরে যেহেতু অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটেছে, একাধিক গোডাউন রয়েছে, শেড রয়েছে সেহেতু পণ্য বন্দরের অভ্যন্তরে আনলোড করা নিয়মের মধ্যে পড়ে। আমরা নিয়মের কথা বলছি।’
রবিইল হাসান/এমজেড/এমআরআই